শুষ্ক মৌসুমেও পানিবন্দী এনায়েতনগরের মুসলমিনগর-মধ্যপাড়া
সাইমুন ইসলাম
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:২২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার
# বাধ্য হয়ে মানবন্ধন করেন এলাকাবাসী
# ড্রেনগুলো আবার পরিষ্কার করা হবে : আঃ জলিল
ফতুল্লা থানাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যো চারটি ইউনিয়নেরই প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এনায়েতনগর ইউনিয়ন এর মধ্যে অন্যতম। বিগত বছরগুলোতে জলাবদ্ধতার কবলে পরে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি এমন বাসিন্দা খুঁজে পাওয়া হবে দুষ্কর।
বর্ষা মৌসুমে দিনের পর দিন পানিবন্দী থাকে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তবে বর্ষা মৌসুম তো বটেই বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমেও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মুসলিমনগর মধ্যপাড়ায় দেখা দিয়েছে দীর্ঘমেয়াদী তীব্র জলাবদ্ধতা।
শুষ্ক মৌসুমেও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যো দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় মুসলিমনগর মধ্যপাড়া এলাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ এলাকায় রয়েছে বৃহত্তম এক পাইকারি বাজার যা নয়াবাজার নামে বহুল পরিচিত। এখানে বাজার করতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে লোকজন। তবে এ বাজারে যেতে এ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দুটি রাস্তার কারনে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। আর পানিগুলোও চরম পর্যায়ের বিষাক্ত।
ফলে এ পানি পাড়ি দিয়ে মৌলিক চাহিদা পুরনে বাজার করতে যাওয়া ও হয়ে পরেছে দুষ্কর। শুধু তাই নয় শ্রমিক অধ্যুষিত এ এলাকায় শ্রমিকরা প্রতিদিন নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পড়তে হয় ভোগান্তীতে। শুধু তাই নয়। জলাবদ্ধতার কবলে পড়া রাস্তার দু পাশের ড্রেনগুলোর নাজুক অবস্থা।
এত পরিমান ময়লা পড়ে আছে ড্রেন দিয়ে পানি যাওয়ার অবস্থায় নেই। ড্রেনগুলো স্লাপ বিহীন। ফলে সড়ক সংলগ্ন ছোট বাচ্চারা এখানে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে জনমনে। এ এলাকার বাসিন্দা এক গার্মেন্টসকর্মী জানান, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমার কর্মস্থলে যেতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তায় বিষাক্ত পানি জমে আছে।
এ পানি পার হয়ে কাজে যাওয়া আসা করতে হয়। এর ফলে বিষাক্ত পানির সংস্পর্শে আসার কারনে আমার পায়ে পচন ধরেছে। আমরা বাধ্য হয়ে এ পানি দিয়ে হেটে যেতে হচ্ছে।
এ নিয়ে কথা হয় এক স্থানীয় বাসিন্দার সাথে। তিনি জানান, শুষ্ক মৌসুমেই এ অবস্থা এবার বুঝেন বর্ষা আসলে কি পরীনতি আমাদের । বহু দিন ধরে এখানের দুটি রাস্তায় পানি জমে থাকলেও তা সমাধানে এগিয়ে আসছেনা স্থানীয় মেম্বার আঃ জলিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে।
বাসা খালি থাকার পরও বাসা ভাড়া হচ্ছে না। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছেন চরম বিপাকে। তথ্যমতে, এ জনপদের জলাবদ্ধতার ভয়াবহ অবস্থা উত্তরনে কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছেন।
এ নিয়ে এনায়েতনগর ইউপির অন্তর্গত ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার আঃ জলিল যুগের চিন্তাকে জানান, নির্বাচনের পূর্বেও ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। ১ মাস আগেও পরিষ্কার করেছি। কিন্তু সমস্যা হলো সমস্যাগ্রস্থ এলাকার বাড়িগুলোর পয়নিষ্কাষন ব্যাবস্থার পাইপগুলো সরাসরি ড্রেনে দেওয়া হয়েছে।
ফলে বৃষ্টির মৌসুম না হলেও মানুষের বাসাবাড়ির পানিতেই সৃষ্টি হয়েছে এই জলাবদ্ধতা। এছাড়াও সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কালিয়ানি খাল দখল হয়ে আছে। ফলে এ ইউনিয়নের পানিগুলো বের হতে পারছে না। খালটি সংস্কার করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে করতে পারলে শুধু ৩ নং ওয়ার্ড নয় গোটা ইউনিয়নের সমস্যা হয়ে যবে।
তবে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তিনি ড্রেনগুলো আবার পরিষ্কার করবেন বলে জানান। তবে এলাকাবাসীর দাবী এ জলাবদ্ধতা অতি দ্রুত নিরসন করা হোক। এমনকি বর্ষায় যেনো ভোগান্তীতে পড়তে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হোক। এন. হুসেইন রনী /জেসি