সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সোনারগাঁয়ে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের হাসি

আশরাফুল আলম, সোনারগাঁ

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার


চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় কর্তৃক স্থানীয় কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করায় এবছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবছর ১৬২০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি ১৮, বিনা-৯ ও বিনা-১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।

 

 

গত বছরের তুলনায় এবছর হেক্টর প্রতি ফলন আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সরেজমিন উপজেলার নোয়াগাঁও, সাদিপুর, জামপুর, বারদী ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমিতে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা বর্ধন করেছে প্রকৃতি। এছাড়া ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী।

 

 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। প্রথমে হালকাভাবে চাষ দিয়ে সরিষার বীজ বপন করতে হয়। পরে এক দু-বার কিছু সার ও কীটনাশক দিলেই সহজে ভাল ফলন হয়। তুলনামূলক কম পরিশ্রম ও বর্তমানে সরিষার বাজার দর ভাল হওয়ায় দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সোনারগাঁয়ে সরিষার আবাদ হয়েছে।

 

 

বাম্পার ফলন ও বাজারে সরিষার দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাঁসি। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ইরি, বোরো ধান চাষের আগে প্রতি বছরই সরিষা বাড়তি ফসল হিসেবে চাষ করেন তারা। এতে ইরি, বোরো ধান চাষের খরচে যোগান দেওয়া যায়।

 

 

জামপুর এলাকার কৃষক আব্দুল গনি বলেন, বর্ষার পানি আগে আগে নেমে যাওয়ায় প্রতি বছর আমরা ইরি, বোরো ধানী জমিতে প্রথমে সরিষার চাষ করি। ইরি, বোরো ধান চাষের আগে আমরা বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করি, এতে করে ভাল আয় হয়।

 


উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে ১৬২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহী করতে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদেরকে সরিষা বীজ ও দুই ধরনের সার দেওয়া হয়। একর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৫ মণ। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সরিষার আশানুরূপ ফলন হয়েছে।

 


সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। ইরি, বোরো ধান চাষের আগে স্থানীয় কৃষকরা সরিষা বাড়তি ফসল পেল। বাজারে সরিষার দামও ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি