রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মণ্ডলপাড়া টু চাষাঢ়া এক সড়কেই ৩০ মিনিট

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার


শহর হবে যানজট মুক্ত আর ফুটপাত হবে হকার মুক্ত। এই দুইটি নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্যই গত ৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠকে এক সাথে বসে ছিলেন মেয়র, এমপি, ডিসি ও এসপি। সেই গোল টেবিলে বৈঠকে বলা হয়েছিলো শহরে ফুটপাতে কোন হকার থাকবে না এবং সড়ক থাকবে যানজট মুক্ত। সেই দিনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেকটাই পরিবর্তন দেখা গিয়েছিলো।

 

 

বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে ছিলো না কোন হকার এবং ছিলো না শহরে কোন যানজট। কিন্তু ১৫ দিন পর শহর আবারও আগে রূপে ফিরে এসে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সড়কে ছিলো যানজট। সরেজমিনে গত রবিবার দেখা যায়, শহরের মণ্ডলপাড়া পুল থেকে ২নং রেল গেইট এলাকায় সারা দিনই ছিলো যানজট। যেই কোন গাড়ি এই সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চালিয়ে আসতে সময় লাগে ৫-৬ মিনিট।

 

 

কিন্তু যানজটের কারনে মন্ডলপাড়া পুল থেকে ২নং রেল গেইটে গাড়ি আসতে সময় লেগেছে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। আর এই সড়কে যানজটের মূল কারণ হচ্ছে উল্টো পাশ থেকে যে কোন গাড়ি দেওভোগ আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে প্রবেশ করে। আর উল্টো পথে গাড়ি প্রবেশ করার কারনে ২নং রেল গেইট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

 

এছাড়াও ২নং রেল গেইট এলাকায় ফিরে দেখা ৭১’ ভাস্কর্যের সামনে উৎসব ও বন্ধন পরিবহন গুলো দাড়িঁয়ে যাত্রী নেওয়ার কারনে ১নং রেল গেইট পর্যন্ত সড়কের এক পাশ যাজট থাকে। প্রশাসন সেই খানে গাড়ি থামতে নিষেধ করলেও গাড়ি চালকরা তা মানে না। তারা এক লাইনে গাড়ি রেখে সেখানে যাত্রী উঠায়। এছাড়া শহরের উকিলপাড়া থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত থাকে দীর্ঘ যানজট।

 

 

বিশেষ করে পপুলার ডায়াগস্টিক সেন্টারের সামনে অবৈধ গাড়ি পাকিং করার কারনে সেখানে সারাক্ষণই যানজট সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে একজন পথচারী জানান, মেয়র, এমপি, ডিসি ও এসপি এক সাথে বসার কারনে শহরে অনেকটায় যানজট ছিলো কম।

 

 

এতো দিন শহরে কোন যানজট ছিলো না, ১০ মিনিটে মন্ডলপাড়া পুল থেকে চাষাঢ়া আসতে পারতাম। কিন্তু দুই দিন ধরে মন্ডলপাড়া থেকে চাষাঢ়ায় আসতে ৩০ মিনিট লাগে। প্রতিটি মোড়ে বসে থাকতে হয়। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মিলে শহর বাসীকে যে আশ্বাস দিলো কিন্তু তা বেশি দিন থাকলো না। আবারও সেই আগের রূপে নারায়ণগঞ্জ শহরের রাস্তা-ঘাট।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি