রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রমজানের আগে উত্তাপ নিত্যপণ্যের বাজারে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার


আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারের নিত্যপন্যের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতিবছরই রমজানের আগে নিত্যপণ্যের ডাল-ছোলা-খেজুর এবং অন্যান্য শাক-সবজির চাহিদা বেড়ে যায়। সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করলে বাজারে নেই এর প্রভাব। শাক-সবজি থেকে শুরু করে রোজার পন্যের দামও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এমন চিত্র ফুটে উঠেছে নারায়ণগঞ্জে পাইকারি নিত্যপণ্যের বাজারে।

 


গত সপ্তাহে শাকসবজির দাম কম থাকলেও এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, আলু ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৩০-৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা ও লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, খিরাই ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০- টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, কহি ৮০ টাকা।

 

 

চিচিঙ্গার ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা ও ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহে সেঞ্চুরী হাঁকানো করলা ও ঢ্যাড়শ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১০০-১৪০ টাকা ও ১২০ টাকা কেজিতে। দাম বেড়েছে কাচা মরিচেরও। প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০২ টাকা। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে।

 


অন্যদিকে রমজানের আগে বয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা করে বেড়েছে। এদিকে বাড়তি দামে এখনও কিনতে হচ্ছে সয়াবিন তেল এতে ক্ষুদ্ধ প্রকাশ করেছে ভোক্তারা। এছাড়া প্রতিটি মাছের কেজিতে বেড়েছে ১শ থেকে দেড় টাকার মতো।

 


বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেশি সেগুলোর সরবরাহ বাজরে তেমন না। এ কারনে এ সপ্তাহ দাম বেশি। মূলত বাজারের নিত্যপণ্যের দাম বাড়া এবং কমা নির্ভর করে সরবরাহের উপরে।  

 


অন্যদিকে ডাল, ছোলা এবং ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত পণ্য পাইকারিতে ক্রয়ের জন্য নগরীর নিতাইগঞ্জ পাইকারি মোকাম অন্যতম। রমজানের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এর মধ্যে পাইকারি বাজারের এবং খুচরা দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। গতকাল নিতাইগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা দরে। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা দরে।

 

 

পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। খেসারি ডাল মাসের ব্যবধানে ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে পাইকারিতে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা দরে। এঙ্কার প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে খেজুরের। রমজান আসার আগেই কয়েক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বেড়েই চলেছে খেজুরের দাম।

 


পাইকারি দামে রমজানের পণ্য কিনতে এসে খুচরা এক বিক্রেতা বলেন, আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপরই রমজান। মানুষ এখনই রমজানের পন্য কিনেছে। তাই চাহিদাও বাড়েছে। কিন্তু এখন কথা আমিই যদি বাড়তি দাম দিয়ে পাইকারি কিনে নিয়ে যাই। তাহলে পরিবহন খরচ এবং লাভ রেখে আমি কয় টাকায় বিক্রি করবো। অন্যান্য দেশে রোজা আসলে সকল পণ্যের দাম কমে যায় যাতে রোজাদার ব্যাক্তিদের রোজা আদায় আদায় করতে কষ্ট না হয়। কিন্তু এদেশে উল্টো বেড়ে যায়।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি