আমলাপাড়া গার্লস স্কুলে প্রশংসাপত্রের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৪ রোববার
# আয়া এবং দারোয়ানদের ব্যবহার এক বাক্যে নিকৃষ্ট বলে জানান শিক্ষার্থী
নারায়ণগঞ্জ আমলাপারা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের উত্তীর্ণ হওয়া স্কুল ও কলেজ পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থীর অভিবাবকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) বাবদ ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন না বিষয়টি অস্বীকার করেন অত্র স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে।
এদিকে স্কুল-কলেজের সময় সকাল থেকে শুরু হলেও দুপুরের আগে নাগাত দেথা মিলে না প্রধান শিক্ষকের। অন্যদিকে অত্র স্কুল এন্ড কলেজের কর্মরত আয়া(বুয়া) এবং দারোয়ানদের ব্যবহার এক বাক্যে নিকৃষ্ট বলে জানান স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন সরেজমিন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে নিয়ম বা পড়াশোনা সুন্দর ঠিক আছে কিন্তু কয়েকজন শিক্ষক এবং আয়া-দারোয়ানদের ব্যবহার ঠিক নাই। সবাই চায় যেন তার ছেলে মেয়ে একটা ভালো স্কুলে পরুক। কিন্তু এমন একটা ভালো স্কুলের যারা কাজ করে তাদের ব্যবহার এমন কেন হবে। এর মধ্যে স্কুলের যে প্রধান শিক্ষক রয়েছে তিনি দুপুরের পরে স্কুলে আসেন। সকালের দিকে থাকেন না। সেই না থাকার সুয়োগটাই এসব টিচার এবং আয়া-দারোয়ানরা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে আচরণ করছে। আমার মতে স্কুল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়টি লক্ষ করা উচিত।
একই কথার সুর ধরে আরেক অভিভাবক বলেন, আমার দুই মেয়ে এখানেই স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়েছে। বড় মেয়ে কলেজ শেষ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হবে বলে আমি সেই দিন প্রশংসা পত্র নিতে এসেছিলাম আমাকেও অফিস সহকারী স্যার বললো ৫০০ টাকা করে লাগবে। আর তারা এমন ব্যস্ততা দেখায় যে তাদের সাথে দু’মিনিট কথা বললো এই সুযোগটা তারা দেয় না। মানুষ যে তাদের সমস্যার কথা বলবে সেই সুযোগই তো নাই।
এ বছর এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে মারিয়া ও তার বান্ধবী। এজন্য স্কুল থেকে প্রশংসা পত্রের জন্য স্কুলটির অফিস সহকারী শিক্ষকের কাছে গেলে জানতে পারে প্রসংশা পত্র বাবদ ৫০০ টাকা করে লাগবে। তখন স্যারকে এতো টাকা কেন লাগবে এমন প্রশ্ন করলে তিনি রাগান্বিত ভাবে বলেন বেশি কথা না বলে লাগলে নাও। না হলে যাও।
বিষয়টি অস্বীকার করে আমলাপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে যুগের চিন্তাকে বলেন, এভাবে ছাড়পত্রের জন্য নির্ধারিত করা কোনো টাকা নেই। এমনি ৩০০ টাকা করে নেয় হিসাবকক্ষে ৩-৪ জন অফিস সহকারী আছেন তারা। আর যদি কেউ আপনাকে জানায় যে কারো থেকে তারা বেশি টাকা নিয়েছে তাহলে আমাকে বলবেন সেটা আমি দেখবো। আর শুধু ছাড়পত্রের জন্য টাকা নেয় তা না আমরা সাথে সরকারি ভাবে যে মার্কসিট দেয় সেটাও দিয়ে দেই।
এদিকে সরকারের কোনো কথা নেই, একেক স্কুলে একেকরকম করে নেয়। কোথায় ৩০০, ৫০০ ও কোনো কোনো স্কুলে ৭০০টাকার মতো নেয়। সরকারি স্কুল এ ১০০-১৫০ নেয় আর আমাদেরটা বেসরকারী তাই গভার্নিং বডি যেটা নির্ধারন করে দিয়েছে সেটাই নেয়, আর অনেকে তো দেয়ও না আর এটা নিয়ে যদি কারো সমস্যা হয় তাহলে আমাকে বলবে। বিষয়টি আমি ঠিক করবো।
সকাল দিকে আপনি স্কুলে থাকেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্কুলে একটু প্রবলেম আছে আর বর্তমানে আমি সেখানে ভালোভাবে যেতেও পারছিনা একদিকে এসএসসি পরিক্ষা চলছে তাই হাইকোর্ট এ একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। আর আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি যে খারাপ আচরন করেছে কেউ, স্কুলে শত ছাত্রছাত্রী আসে এমন হয়েছে আমাকে কেউ বলেনি। এস.এ/জেসি