সিদ্ধিরগঞ্জে রমজানের পণ্যের চড়া মূল্যে ক্রেতাদের হাঁসফাঁস
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার
গতকাল থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র রমাদানকে পালিত করার আগ্রহে পাড়া-মহল্লার বাজার গুলোতে নিত্যপন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে, পন্যের চড়া মূল্যে হাসঁফাসঁ অবস্থা সাধারণ মানুষের।
অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাগামহীন দামে রমজানের জন্যে প্রয়োজনীয় সদাই ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিন্মবিত্তরা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, পাইকারীতে বেশি কেনার ফলে তারাও বেশিতে বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, প্রথম রোজারদিনে এখানকার বাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার দোকানে ভীড় করছে ক্রেতারা। কিন্তু পন্যের অধিক দাম হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়েও কম পন্য নিয়ে বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন তারা। বিশেষ করে বিপাকে পড়ছেন নিন্মবিত্তরা। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দিনআনা দিন খাওয়া মানুষদের ঘুরতে হচ্ছে বহু দোকান।
দোকান ঘুরে জানা গেছে রমাদান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পন্যের মধ্যকার বুটের মূল্য ১১০ টাকা, চিনি ১৪০, ডাল ১৪০, মুড়ি ৮০।পেঁয়াজ ৮০-৯০, আলু ৪০, রসূন ১৫০-১৬০ আধা ২০০, লেবুর হালি ৭০-৮০, শসা ৮০, বেগুন, ৮০-৯০, টমেটো ৪০। গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা! বয়লার মুরগী ২২০ এবং ককের মূল্য ৩২০-৩৪০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। ফলের মধ্যে খেজুর ২৮০ থেকে ১৫'শ দরে, আপেল ৩৫০, মাল্টা ৩৬০, নাশপতি ৩০০ আনাড় ৩৫০ টাকায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ বাজারে এসেছেন রহমান আলী। কেমন বাজার করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে জানিয়েছেন, ১২'শ টাকা নিয়ে বাজারে এসে মুরগী কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। সবজি, বুট এবং তেল কিনতেই তার বাজেট শেষ। তাই বিকেলে আবারও এসে বাকি সদাই কিনবে।
চিটাগাংরোডস্থ কাচা বাজারে দিনমজুর আক্কাস মিয়াকে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পন্যের মূল্য জিজ্ঞেস করতে দেখা গেছে। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, গতকাল কাজ করে ৬'শ টাকা কামিয়েছেন। সেই টাকা নিয়ে বাজারে এসে মুরগী কিনলেও সবজীতে আটকে আছে। তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে একটু কমের মধ্যে কিনতে চাচ্ছেন।
ফল কিনতে আসা জীবন নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অতি প্রয়োজনীয় লেবু এবং বেগুনের অধিক মূল্য রাখছেন দোকানদাররা। আপেলের এবং মাল্টা কিনতে এসে অবাক হলাম। মূল্য না কমালে সামনে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরার পর আরও কয়েকজন ক্রেতাও এমন কথা জানিয়েছে। অনেক ক্রেতার মতে মূল্য না কমলে ১৫ রোজার পর ইফতারিতে পছন্দের জিনিস খেতে ব্যর্থ হবেন।
এদিকে দোকানিতের ভাষ্য, তারা খুচরা ব্যবসায়ী। পাইকাররা বেশি মূল্যে তাদের থেকে বিক্রি করাতে তারাও ক্রেতাদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে। তাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, আমি বর্তামনে নারায়ণগঞ্জে একটি অভিযান পরিচালনা করছি।
আর সরকার থেকে এখন পর্যন্ত মাংসের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। শুনেছি দিপুরাজার এলাকাতেও ৭৮০ করে বিক্রি করা হচ্ছে। পন্যের দাম বেশি রেখে ক্রেতাদের হয়রানি করলে ব্যবস্থা অবশ্যই নিবো। তবে এখন একটু ব্যস্ত একটি অভিযানে আছি। এন. হুসেইন রনী /জেসি