কাউন্সিলর মুন্না ও ডিলার পলাশ মিলে টিসিবির পণ্যে নয়-ছয়
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪ রোববার
# ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পায়না অনেকে
সকাল থেকে বিকেল ও বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়েও টিসিবি পণ্য নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন অগণিত মানুষ। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম। কিন্তু এই টিসিবি পণ্য লুট ও কারচুপি হবার কারণে গত বছর থেকে স্মার্ট ডিজিটাল পরিবার পরিচিতি কার্ড করেছে সরকার। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে পণ্য নিতে পারবে নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু কার্ড থাকলেও পণ্য পাচ্ছেন না অনেকে। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোারেশনের ১৮নং ওয়ার্ডে।
এবিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের বাসিন্দা লিপি আক্তার নামে একজন বলেন, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। কোন সময় ট্রেক আসবে জানিও না। একটা সময় ট্রাক আসলে পণ্য দেওয়া শুরু করে। অনেক সময় মাল পাই, অনেক সময় পাই না। খালি হাতে ফেরত যেতে হয়। কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার লোকদের আগে দেয়। এছাড়াও দেখা যায়, কার্ড আছে লোক নেই। সেই কার্ডের মালামাল মুন্না তার লোকদের দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ভয়ে কিছু বলতেও পারি না। এবিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্চুক একজন বলেন, এই ১৮নং ওয়ার্ডে টিসিবি পণ্য নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষের। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে না অনেকেই।
নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না নিজেই নিয়ন্ত্রন করেন টিসিবি পণ্য। বাপ্পী সড়কে তার নিজ কার্যালয়ের সামনে দেওয়া হয় টিসিবির পণ্য। এই ওয়ার্ডের টিসিবি পণ্যের ডিলার হচ্ছে আহসান হাবিব পলাশ। সে কামরুল হাসান মুন্নার লোক। এখানে অন্য কোন ডিলার টিসিবি পণ্য বরাদ্দ পেলে তাকে জিম্মি করে তার থেকে মালামাল নিয়ে যায় আহসান হাবিব পলাশ ও কামরুল হাসান মুন্নার লোকজন।
জানা যায়, ডিলার পলাশ অর্ধেক মালামাল বিতরণ করেন ও বাকিটি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। এবিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্চুক একজন বলেন, বাহির থেকে পন্য কেনার যাদের সামর্থ আছে তারাও এখান থেকে টিসিটি পণ্য নিয়ে যায়। মুন্না তার লোকদের দিয়ে তাদের পণ্য বাড়ি বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও কার্যালয়ে বসে মুন্নার চাচাত ভাই রিয়েন তাদের লোকদের কার্ড স্ক্যানিং করে পণ্য রেখে দেয়।