শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শহরের সব ‘জঞ্জাল’ শকুর এলাকায়, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:১১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার

 

# সপ্তাহে দুইদিন হলিডে মার্কেট করার কথা বলে এখন বসবে সারা মাস

 

এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তার ওয়ার্ডের জনগন। কারণ তারা এই শহরের রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী হকারদেরকে জঞ্জাল মনে করেন। আর সারা শহরের এই জঞ্জাল শকু তার এলাকায় নিয়ে গেছেন বলে তারা মনে করছেন।

 

যদিও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের নির্দেশে তিনি সলিমুল্লাহ সড়কে হকারদের বসতে দিতে বাধ্য হয়েছেন, তারপরেও এই ক্ষেত্রে তিনি অতি উৎসাহী ভূমিকা পালন করেছেন বলে তার এলাকা খানপুর, ডন চেম্বার ও মিশন পাড়ার জনগণ মনে করেন। তারা মনে করেন তাদের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু এলাকাবাসীর দূর্ভোগ হওয়ার বিষয়টি সেলিম ওসমান এমপিকে বলতে পারতেন।

 

তাছাড়া প্রথমে বলা হলো সপ্তাহে দুই দিন তারা হলিডে মার্কেট হিসাবে বসবেন। কিন্তু পরে আবার আবদার করে বসলেন সপ্তাহে সাত দিন তথা চাঁনরাত পর্যন্ত টানা বসতে দিতে হবে। এতে যে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ হবে এটা কি কাউন্সিলর শকু বুঝতেন না। তিনি কিছুই না বলে উল্টো হকারদের ইচ্ছে মতো সড়ক দখল করার কাজে সহায়তা করেছেন। তাই তারা এটা কোনো মতেই মেনে নিতে পারছেন না বলে জানান।

 

তাদের মতে সারা শহরের জঞ্জাল সলিমুল্লাহ সড়কে ডেকে নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এভাবে সড়ক দখল করে হকার বসে এমন নজির নেই। নারায়ণগঞ্জেই এটা সম্ভব হচ্ছে। কারণ হকার নামে কিছু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজকে লালন পালন করা হয় এবং তাদেরকে রাজনৈতিক মিছিল সভায় ব্যবহার করা হয়। মূলত প্রশ্রয় দিয়ে ওদেরকে মাথায় তোলা হয়েছে বলে তারা জানান। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন আসলে নারায়ণগঞ্জের জনগণের কোনো দাম এমপিদের কাছে নেই।

 

যদি থাকতো তাহলে তারা এভাবে হকারদের মাথায় তুলতেন না। মূলত এমপিরা প্রশ্রয় দেন বলেই কথিত হকার নেতা দাবিকারী চাঁদাবাজরা শহরের বুকে দাঁড়িয়ে জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বড় বড় কথা বলে। ওদের কাছে এই শহরের মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছে। তারা আরো মনে করেন দুই এমপি আন্তরিক হলে এই জঞ্জাল শহর থেকে জেটিয়ে বিদায় করার এক ঘন্টার ব্যাপার মাত্র।

 

এমপিরা জনগণের পক্ষে অবস্থান নিলেই পাল্টে যেতো চিত্র। কিন্তু এমপিদের কাছে জনগণের অধিকারের কোনো মূল্য নেই। সব অধিকার যেনো কেবলই বহিরাগত দখলদারদের। তবে যে যাই বলুক না কেনো শওকত হাসেম শকু সারা শহরের জঞ্জাল তার নিজের এলাকায় নিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের কোনো অন্ত নেই।

 

তাই এখন খানুপর, ডনচেম্বার, মিশন পাড়া আর আমলা পাড়ার মানুষ নারায়ণগঞ্জের দুই এমপি এবং তাদের এলাকার কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর তীব্র সমালোচনা করছেন। এস.এ/জেসি