তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
দুপুর হতেই তেতে ওঠেছে সূর্য। প্রচন্ড রোদের তাপের আঁচে গা পুড়ে যায় যায় অবস্থা। তীব্র গরমে শরীর থেকে ঝরঝর করে ঝরছে ঘাম, গলা শুকিয়ে প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। এদিকে এই গরমে রোজাদারদের চরম কষ্ট হচ্ছে। রমজানের শেষ সময় গরমে অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণীকূল। খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে তীব্র রোদে কাজ করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ।
বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা তীব্র গরমে সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে নগরীর শপিংমলগুলোতে ঈদে বেচাকেনায় গরমের আঁচ পেতে হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতাদের। রোজায় তীব্র গরমের ভোগান্তি জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
এ অবস্থায় পথে বের হলেই শরীর পুড়িয়ে দিচ্ছে রোদের তেজ। সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বাড়তে থাকে। রোদের এতটাই তেজ যে, ঘরের বাইরে পা ফেলা দায়। গতকাল নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রিকশাচালক করিম মিয়া বলেন, চরম গরম। রোদের খুব তাপ। রোজা থেকে রিকশা চালাতে পারছি না। তারপরও চালাতে হচ্ছে। না চালিয়ে কি করবো, পেট তো সরকার চালাবে না।
অপর রিকশাচালক শাহ আলম বলেন, অতিরিক্ত বেশি গরম। আল্লাহ ১২ মাসের মধ্যে একটা মাস দিয়ে তার উবাদত করার জন্য। কিন্তু এই রোদের কারনে রোজা থঠশতে পারি না। গরমে কাজ করতে কষ্ট হয়। আবার কাজ না করে যে রোজা রাখবো তার ও কোনো উপায় নাই। কাজ না করে খাব কি, একদিন কাজ না করলে আমাদের খাবার জোটে না। তাই না চাইতেও কাজ করছি।
করিফুল হাসান নামের এক দিনমজুর বলেন, দুপুর ১২ টার আগ থেকে বিকেল পযর্ন্ত টানা রোদ। এরমধ্যেই আমাদের রোজা থেকে কাজ করতে হয়। আমাদের মত গরিব মানুষদের প্রতি সবাই একটু নজর দেন। নইলে আমরা চলব কিভাবে, জিনিসপত্রের যে দাম, আমাদের কাজের মজুরি একটু বাড়িয়ে দিলে উপকৃত হই। এন. হুসেইন রনী /জেসি