ঝুট সন্ত্রাসী অনিক বাহিনী বেপরোয়া
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাস্থ কাশীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা মিনি গার্মেন্টেস গুলোর ঝুট নিয়ে একাধিক গ্রুপ এখন মুখোমুখি। যে কোনো সময়ে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে ঝুট সন্ত্রাসীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন বলে ধারণা করছেন মিনি গার্মেন্টগুলোর মালিকরা। এদিকে বাবুরাইল, আমবাগান, হোসাইনীনগর, বাংলাবাজার, দেওয়ানবাড়ি এই এলাকা গুলোতে জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় মিনি গার্মেন্টস।
এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান ও তার সহযোগী আহম্মেদ কাউসারের নাম পরিচয়ে কথিত ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী নেতা অনিক মির্জা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কাশীপুরে বিভিন্নস্থানে নানা অপকর্মে জড়িয়ে আছেন তিনি।
এদিকে জানা গেছে, এলাকায় গড়ে উঠা ছোট ছোট মিনি গার্মেন্টসের মালিকদের জিম্মি করে পাঁচ টাকার মাল এক টাকা দিয়ে জবর দখল করে আত্মসাৎ করছে এই অনিক বাহিনীর লোকেরা। এদিকে এই অনিক এলাকাই সব দখলে নেই তার রয়েছে এক বিশাল কিশোরগ্যাং বাহিনী। যাদের দিয়ে এলাকা গুলোতে তান্ডব চালায় এই অনিক।
তারা হলেন, রাজু, মামুন, সোহেল, ফয়সাল, ইমনসহ আরো অনেকেই। তা ছাড়া কম মূল্যে ঝুট দিতে কোন হোসীয়ারী মালিক অনীহা করলে তাৎক্ষণিক চলে তার শেল্টারে থাকা কিশোরগ্যাংয়ের তান্ডব। গত বছর হোসাইনী নগর, আলসাবা, খিল মার্কেটের আওতাধীন ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অনিকের নেতৃত্বে একটি বড় শোডাউন করেছে। সে সময় কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ও দৃশ্যমান দেখা গেছে। রাসেল হোসীয়ারী, আনন্দ গার্মেন্টস, আল মদিনা ট্রেডার্সের মলিকদের নিয়মিত থ্রেট দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের দখলে আনতে চাচ্ছেন।
স্থানীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ বাবুরাইল, বাংলাবাজার, দেওয়ানবাড়ি এলাকা গুলোতে আত্মগোপনে নানা প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা রেখে ঝুট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন অনিক বাহিনী। তা ছাড়া এই অনিকের পালিত কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকার লোকদের ভয় দেখিয়ে রাখতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ করে থাকেন।
যা নিয়ে এলাকার স্থানীয় অনেকে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে ও অয়ন ওসমান ও আহম্মেদ কাউসারের লোক শুনলেই হয় না মামলা। এভাবে চলতে থাকলে সামনে ঝুট সন্ত্রাসী ছাড়িয়ে আরো বড় বড় ক্রাইমের সাথে লিপ্ত হয়ে পরবে। বর্তমানে ইট-বালু সিমেন্টের ব্যবসার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। সামনে এই বাহিনীর তান্ডব আরো বড় আকারে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আযম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। এস.এ/জেসি