বাড়তির দিকে নিত্যপণ্যের বাজার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৫৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার
ঈদের পর থেকে বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। অন্যদিকে সারা দেশেসহ নারায়ণগঞ্জের চলমান তাপদাহের প্রভাব পড়েছে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ও খুচরা সবজির বাজারে। ফলে বেড়েছে সবজির দাম। একইসঙ্গে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। বিশেষ করে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে।
তবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দাসহ মাছ ও মাংসের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, প্রচন্ড গরমে বাজারে কমেছে সবজির সরবরাহ। আর এই সরবরাহ ঘাটতি থাকার কারনে বেড়েছে সবজির দাম।
পাইকারি সবজি বিক্রেতারা বলছেন, মাত্রারিক্ত তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজি সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের কষ্টের ফলানো ক্ষেতের সবজি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বারবার ক্ষেতে পানি বা সেচ দেওয়ার কারণে সবজি উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। যে কারণে গ্রামের মোকামে সবজির দাম বেশি।
গতকাল (শুক্রবার) নগরীর পাইকারি দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সময় নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৩০-৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম ২০ টাকা বেড়ে মানভেদে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ৪৫-৫৫টাকার মধ্যে ছিল।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে বেগুন ৮০-৮৫ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আবার কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ঈদের পর দাম বেড়েছে অন্যান্য উপকরণেরও। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ বা ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
২৭০ টাকা প্রতিকেজি থেকে থেকে নেমে এসেছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি । লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৫৫ টাকা দরে। আর সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। তবে ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে। এন. হুসেইন রনী /জেসি