আলমগীর হোসেনের ইয়র্কারে বোল্ড আউট সানাউল্লাহ সানু
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ৯ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার
কোনরকম আলোচনায় না থেকেই আশ্চর্য্যজনকভাবে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলমগীর হোসেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানুসহ আরও দুই প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মাইক প্রতীকের আলমগীর হোসেন।
গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্ব্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মাইক প্রতীকের আলমগীর হোসেন। তার প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৬। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১ ভোট, টিউবওয়েল প্রতীকে ১৩ হাজার ৪২৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন শহিদুল ইসলাম জুয়েল এবং তালা প্রতীকে ৮ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন মোশাঈদ রহমান মুকিত।
এদিকে, সদ্য সমাপ্ত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন সানাউল্লাহ সানু। কেননা, নির্বাচনে চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদের রানিং ভাইস চেয়ারম্যান থাকাসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টিতে বর্তমান কমিটির সভাপতিও তিনি। একাধারে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল সানাউল্লাহ সানুর উপর।
এছাড়াও এমপি সেলিম ওসমান সমর্থিত সানাউল্লাহ সানুর পর আলোচনায় ছিলেন তালা প্রতীকের মোশাঈদ রহমান মুকিত। প্রাপ্ত ভোটসংখ্যায় যিনি অর্জন করেছে চতুর্থ স্থান। নির্বাচনের মাঠে নতুন মুখ হলেও মুকিতের উপর পুরোপুরি সমর্থন ছিল নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের সহধর্মীনি পারভিন ওসমান ও তার পুত্র আজমেরী ওসমানের। এমনকি নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে মোশাঈদ রহমান মুকিতের হয়ে বন্দরে স্ব-শরীরে ভোটপ্রার্থনাও করেছিলেন পারভীন ওসমান।
অপরদিকে, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন মাইক প্রতীকের আলমগীর হোসেন। যা নিয়ে বন্দর উপজেলা ছাপিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।