শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বক্তাবলীতে ভেকু লাগিয়ে কাটা হচ্ছে নিরীহ মানুষের চাষের জমি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৩২ পিএম, ৯ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার


বক্তাবলী ইউনিয়ন জুড়ে বিভিন্ন গ্রামে দানবের মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েকটি ভেকু। আর এসব ভেকু ব্যবহার করে রাতারাতি চাষের জমির মাটি কেটে ঘর তুলে নিরীহ মানুষের জমিজমা দখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। আর চোখের সামনে এসব করতে দিয়ে চুপচাপ তামাশা দেখছেন এই ইউনিয়নের প্রতাপশালী চেয়ারম্যান শওকত আলী।

 

 

গোটা বক্তাবলী ইউনিয়ন জুড়ে চলছে জোর যার মুল্লুক তার অবস্থা। তাই ইউনিয়নবাসীর প্রশ্ন শওকত আলী তার এলাকায় এসব কেনো চলতে দিচ্ছেন? তার অনুমতি ছাড়া ভেকু লাগিয়ে জমি দখলের সাহস কি করে পায় ভূমি দস্যুরা? এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে ভেকু দিয়ে সাধারণ মানুষের চাষের জমির মাটি কাটা বন্ধ করা হোক।

 

 

মানুষ আশা করছে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব চেয়ারম্যান এসব ভেকু তার এলাকা থেকে বের করে দেবেন। অন্যথায় মানুষ ধরেই নেবে নেপথ্যে থেকে শওকত চেয়ারম্যানই এসব ভেকু ঢুকিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়নে। এদিকে গোটা নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ মনে করেন শওকত চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ জেলার একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হিসাবে পরিচিত।

 

 

তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তাকে বড় ভাই হিসাবে মানেন। তিনি বিগত দুই যুগ ধরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। আর শামীম ওসমান সারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি।

 

 

তাই এই শওকত চেয়ারম্যান তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই নিজেও নিজেকে বেশ ক্ষমতাশালীই মনে করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো এমন একজন ক্ষমতাশালী চেয়ারম্যানের এলাকার সাধারণ মানুষ মোটেও শান্তিতে নেই। বক্তাবলীর প্রতিটি গ্রামে এখন ভয়ংকর চেহারা নিয়ে গজিয়ে উঠেছে আলাদা আলাদা ভূমিদস্যু চক্র।

 

 

আর এই চক্রের সদস্যরা গ্রামগুলোর সাধারন মানুষের জমিজমাতো বটেই অনেকের বাড়িঘর দখল করে নিচ্ছে। প্রতিদিনই এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কারো না কারো জমি দখল করে নিচ্ছে ভয়ংকর ভূমি দস্যুরা। ওরা ভেকু দিয়ে রাতারাতি মানুষের জমিজমা কেটে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে দখল করে ফেলছে।

 

 

শওকত চেয়ারম্যানের চোথের সামনেই ঘটছে এসব ঘটনা। তিনি চুপ করে তামাশা দেখছেন। বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রায় প্রতিটি ভূমি দস্যুতার ঘটনাই শওকত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।

 

 

কিন্তু তিনি কোনো ঘটনারই সমাধান দিতে পারেন না। সাধারণ মানুষের দাবি তিনি আন্তরিক ভাবে কোনো চেষ্টাই করেন না। তাই এসব ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট দ্বারা তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। তাই গোটা বক্তাবলী জুড়ে ভূমি দস্যুদের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি