মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সাহেদ-আশার নতুন জোট

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার

 

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মহানগর বিএনপির নয়া কমিটি গঠনের পর থেকেই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন এই সংগঠনটি। এদিকে বর্তমানে একাংশ রাজপথমুখী ও আরেককাংশ মাঠের বাহিরে থাকলে ও জিয়ার রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ উপলক্ষ্যে দুই অংশের নেতাকর্মীরাই নেমেছিলেন মাঠে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বহু দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থেকে রাজনীতি করা বহু নেতাকর্মীকে একত্রিত হতে দেখা গেছে। 

 

আবার যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদকে দেখা গেছে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের থাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে। এমনকি শোনা যাচ্ছে, মূল দল অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী যুবদল সদস্য সচিব শাহেদকে কাউসারের নিকট পাঠিয়ে তাকে নতুন রূপে রাজপথে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে।

 

 আবারো একত্রিত হয়ে রাজপথ কাপাঁতে তারুণ্যের প্রয়োজন বলে কাউসারের নিকট শাহেদকে দিয়ে আবেদন করিয়েছে নেতাকর্মীরা। সেই হিসেবে ঈদুল আযহার পর পরই মহানগর বিএনপির ব্যানারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে আবুল কাউসার আশার মাঠে নামার সুখবর দরজায় কড়া নারছেন। তা ছাড়া তাকে আরো আশ^াস দেওয়া হয়েছে যে, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল তার সাথে এতত্রিত হয়ে রাজপথমুখী হবে। 

 

এদিকে তাদের দুই মধ্যে এই সাক্ষাৎতের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বহু নেতাকর্মীকে বলতে শোনা গেছে। এটি একটি দ্বন্দ্বের আখরোশ। অনেকে আবার বলছে, মূল দল যাবে যে দিকে অঙ্গসংগঠন ও সেই দিকে।


সূত্র বলছে, গত বছরের (৩০ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গুম দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে মৌণ মিছিল কর্মসূচি পালন করছিলেন মহানগর বিএনপি। সে দিকে এর আগের দিন মহানগর যুবদলের ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়, সেখানে আহ্বায়ক পদ-প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম জোসেফকে কোন পদে পদায়ন করা হয়নি। যাকে ঘিরেপর দিন মহানগর বিএনপির আয়োজিত মৌন মিছিলের পূর্বের সমাবেশে পদবঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে জোসেফের কর্মী বাহিনী বিএনপির ওই কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিষফোঁড়নসহ লাঠি-সোঠা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়।

 

 নেতাকর্মীদের এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জোসেফ বাহিনী। তাদের হামলা থেকে রেহায় পায়নি মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। হামলায় শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ টিপুর পরিহিত পাঞ্জাবিটিও ছিড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল। যার পরবর্তীতে জোসেফকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে তুলোধুনো করেছিলেন সাখাওয়াত-টিপু । 

 

এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জোসেফের বিরুদ্ধে বক্তব্যে দিয়ে বলেছিলেন, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ একজন নেশাগ্রস্থ, মাদক ব্যবসার সেন্ডিকেটকারী, সন্ত্রাসী, নারী কেলেঙ্কারী ও লাঙ্গল মার্কা বিএনপি এবং সরকারী দলের দালাল বলে ও আখ্যায়িত করা হয়েছিলো। কিন্তু গত ৯ মাসের দ্বন্দ্ব ভূলে গিয়ে গত (৩১ মে) বিকেলে মিনাবাজার এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেন মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। 

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জোসেফের নিমন্ত্রণে অংশ নেয়ার পাশাপাশি টিপু তার বক্তব্যের একাংশে বলেন, ‘মাজহারুল ইসলাম জোসেফ আমার হাতে গড়া শিষ্য।' এছাড়াও তার ভূয়াসী প্রশংসা করেন টিপু। তা ছাড়া আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও জোসেফের আয়োজন নিয়ে বেশ প্রশাংসায় মেতে উঠেন। তা ছাড়া মহানগর যুবদলের মূল ব্যানার ও বিদ্রোহীদের ব্যানারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবেই উপস্থিত থাকায় যুবদলে বইছে সমালোচনার ঝড়।

 

 সকলেই দাবি করছে, দুই ব্যানারের পোগ্রামে তারা কিভাবে যায়, তারা তো বলতে পারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে। কিন্তু তারা তা না বলে দুই নৌকায় পাঁ দিয়ে মজা লুটছে। এদিকে মহানগর যুবদলের মূল কমিটির নেতাকর্মীরা ও মহানগর বিএনপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  এমনকি মহানগর বিএনপির এমন কর্মকান্ডের কারণে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে একত্রিত হয়ে নয়া মেরুকরণ তৈরির পায়তারা করছেন ক্ষোভে থাকা নেতৃবৃন্দ।