সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ক্লাস ও মাঠ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ৪ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার
টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে কাশিপুর ইউনিয়নস্থ ৫নং ওয়ার্ড খিলমার্কেট এলাকার ৬০নং গোয়ালবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় হাঁটু সমান পানিতে স্কুলের মাঠ, ক্লাসরুম ও শহিদ মিনারসহ পানিতে ভরে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরছে শিক্ষার্থীরা। পানি সরার মতো কোনো অবস্থা নেই, দেখা গেছে দির্ঘদিন ধরে জমে থাকার কারনে নোংরা আবর্জনা ও কালো পচা পানিতে পরিনত হয়েছে, যার কারনে সেখানে মশার উপদ্রবও গড়ে উঠেছে।
ক্লাসে যাওয়ার মতো কোনো রাস্তা পায়না শিক্ষার্থীরা। দেখা যায় বিদ্যালয়টির ভিতরে ২টি ভবন ,একটিতে ক্লাস হলেও অন্যটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। ভিতরেই মাঠের কিনার দিয়ে কোনোরকম যাওয়া-আসা করছে শিক্ষার্থিরা। জানা যায়, স্কুলের পাশের ড্রেনটি নিচু হওয়ার কারনে বালি বরাট করার পরও বৃষ্টির পানিতে সেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
সেখানে অভিভাবকরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস শেষে টিফিন বিরতিতে যে একটু খেলাধুলা করবে সে অবস্থাও নেই। এতো বড় মাঠ থাকা স্বত্তেও পরিষ্কার করার অভাবে স্কুলে সমাবেশ , খেলাধুলা করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। জমে থাকা পানির কারনে দিনে বেলাতেই এতো বড় বড় মশা চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। এই মশার কামড়ের কারনে আমাদের বাচ্চাদের জটিল কোনো ব্যাধি হতে পারে।
এছাড়া বাচ্চারা তো ভালো পানি বা পচা পানি বুঝে না অনেক সময় দেখা যায় দুষ্টুমি করতে করতে একে অপরের সাথে ধাক্কা লেগে এই পানিতে পরে যেতে পারে। কিন্তু এগুলো চিন্তাভাবনা শুধু অভিভাবকদেরই এ ব্যপারে স্কুল কতৃপক্ষের কোনো কার্যক্রমই আমাদের চোখে অগোচর ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা এ বিষয়টি চেয়ারম্যানকে এবং ঊপজেলায় জানিয়েছি,কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল তারা বালি ফেলেছিল। বালি দিয়ে বরাট করারও পরও কোনো কাজ হয়নি, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে সব বালি চলে গিয়েছে। আমাদের এখানে যে ড্রেনটি আছে সেটি অনেক নিচু আর স্কুলটি উচা হওয়ার কারনে গত ১ বছর ধরে এই অবস্থা।
আমাদের যতটুকু সামার্থ্য ততটুকুই চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিবারই আমরা পানি পরিষ্কার করি তারপরও বৃষ্টির পানি জমে, এখানে বিদ্যালয়ের মাঠে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের এখানে যে অফিসার আছে তাকে বলা হয়েছিল তারা দের-২লক্ষ টাকা দিয়ে বালি বরাট করিয়েছিলেন। আর আমাদের স্কুল শিক্ষকরাই বা কি করবেন এখানে, সবারই সিমীত বেতন । তারপর আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাম্মৎজাহানারা খানম জানান, বৃষ্টির পানির সমস্যাটি আমি নিজেও দেখেছি এ বিষয়ে ইউনো স্যার কিছু করতে পারলে তাহলে আরো ভালো হতো । আমরা সরকারি ভাবে চাই যে আমাদের কিছু বরাদ্দ থাকা দরকার।
ওদিকে যে পরিতক্ত ভবনটি আছে সেখানে আগে অনেক কিছুর আড্ডা বসতো তাই সেটিকে আমরা অপসরন করে দিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদে তো অনেক গুলো উন্নয়নের ধাপ আছে, তারা আরেকটু চেষ্টা করলে তাহলে ঠিক হতো। বরাদ্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্তটি এখনো হয়নি চেয়ারম্যান স্যারকেও বলেছি। এন. হুসেইন রনী /জেসি