রূপগঞ্জে সড়ক নির্মাণে ধীরগতিতে চরম ভোগান্তিতে ৩০ গ্রামের বাসিন্দা
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১১:৪২ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার
৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চলছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের পূর্বাচল পর্যন্ত। মুশুরী ফজুরবাড়ি থেকে পূর্বাচলের হাবিবনগর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের ৪ কিলোমিটার পাকা হলেও দুইস্থানে ২ কিলোমিটার জুরে গর্ত আর ভাঙ্গা থাকায় অচল হয়ে আছে সড়কটি। প্রতিদিন কাঁদায় আটকে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। এতে এ অঞ্চলের ৩০ গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কের ভক্তবাড়ি এলাকায় সড়কের দুপাশে পানির ড্রেন আর রূপগঞ্জের ফজুর বাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ খুঁটি ও কালভার্টের কারনে সড়কের মাঝখানে পড়ে আছে কাঁদামাটি। বর্ষায় অব্যাহত বৃষ্টির কারনে এসব মাটির উপর দিয়ে গাড়ী চলাচলের কারনে প্রতিদিন গাড়ী আটকে যায়।
এতে উভয়পাশে সৃষ্টি হয় যানজট। আবার স্থানে স্থানে পানি জমার কারনেও অচল থাকে সড়কটি। বিকল্প সড়ক না রেখে এমন নির্মাণ ভোগান্তি বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভক্তবাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত ২ বছর ধরে কাজ চলছে। ঠিকাদারের লোকজন কাজ ফেলেই চলে যায়। এ কারনে যেখানে ড্রেন থাকে সেখানেই ভোগান্তি বাড়ে। পানি জমে থাকে। কাঁদায় অচল হয়ে থাকে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, আমরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারিনা। সড়ক দিয়ে কোন গাড়ী চলে না। হেটে যেতে হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোমানুর নাহার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের জন্যে একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু বিকল্প সড়ক রাখা হয়নি। তবে আনন্দ হাউজিং এর সড়কে অনেকে যাতায়াত করেন। তবে সেখানেও বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে। সব গাড়ী চলতে দেয় না। এতে চরম ভোগান্তিতে আছি আমরা।
রূপগঞ্জের মশুরির বাসিন্দা মোমেন মিয়া বলেন, ফজুর বাড়ি ভিংরাবো খালে কালভার্টের কারনে সড়কে কাঁদা জমে আছে। তাই বৃষ্টির দিনে ভোগান্তি বেশি। হেটেও চলাচল করা যায় না।
মুশুরী গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান নয়ন বলেন, সড়কটির নির্মান কজা করতে গিয়ে স্থানে স্থানে যেমন অচল তেমনি নির্মাণ করা সড়ক ভেঙ্গেও ভোগান্তি বেড়েছে। দক্ষিণ বাগ, চুরাবোসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক দেবে গেছে।
ভক্তবাড়ি এলাকায় সড়কে ফেঁসে যাওয়া ট্রাক চালক আল আমিন বলেন, গত রাত ১১ টার দিকে এখানে নরম মাটিতে চাকা দেবে গেছে। আরও কয়েকটি এমন হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২ হাজার করে নিয়ে বেকু দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তুলে দেয়। মনে হচ্ছে ওরা ইচ্ছে করেই গাড়ী ফাঁসিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসব বিষয়ে এনডিএ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা কাজ করছি। থেমে নেই। তবে কিন্তু জায়গায় ড্রেন করতে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও কাঁদা সমস্যা তৈরী হয়েছে। নির্মাণ কাজে একটু ভোগান্তি থাকবেই।
এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ উল আল আমিন বলেন, বৃষ্টির কারনে সাময়িক সমস্যা তৈরী হয়েছে। আর বিদ্যুৎ খুঁটি না সরানোর কারনেও সড়কটি নির্মাণে দেরী হচ্ছে। তবে এ ভোগান্তি দূর হবে শীঘ্রই। এন. হুসেইন রনী /জেসি