সাধারণ মানুষের কাছে সন্ত্রাসী-গডফাদারদের ঠাই নাই: মামুন মাহমুদ
লিমন দেওয়ান
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:৩৬ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২৪ শনিবার
দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের দূর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্য,গুম, খুন এবং ছাত্র-জনতাকে নির্চারব গণ হত্যার বিচারের প্রতিবাদে এবং শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করা হয়েছে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সৌদি-বাংলা শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহানের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তাকে হাসিনা বললে ভুল হবে খুনি হাসিনা, এই কথিত খুনি হাসিনা এবং তার দোষরদের বিচার বাংলাদেশের আদালতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে হতে হবে। দেশের গণহত্যার নেতৃত্ব দেওয়া এই আওয়ামীকে নিষিদ্ধ করতে হবে, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদকের নাম যেনো কি কাউয়া কাদের, ভুয়া ভুয়া। সে কতো লম্বা লম্বা কথা বলেছিলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কতো লম্বা লম্বা কথা বলেছিলেন। তারা বলেছিল যদি আওয়ামী ক্ষমতায় থাকে তাহলে তাদের লোকজন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন। কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিয়েছি তারা ক্ষমতা ছাড়ে নাই।
তাদের নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। বিল্পবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র জনতার রাজত্ব কায়েম হয়েছি। এতেই প্রামনিত বিএনপির কাছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ নিরাপদে থাকবে, খালেদা জিয়ার এবং তারেক রহমানের কাছে এই ১৮ কোটি মানুষ নিরাপদে থাকবে।
শামীম ওসমানকে গডফাদার আখ্যা দিয়ে মামুন মাহমুদ বলে, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কে আপনারা চেনেন? সে কি নামে পরিচিত? “বোরকা শামীম”। সাধারণ মানুষের কাছে সন্ত্রাসী, গডফাদার ঠাই নাই। খেলা হবে খেলা হবে বলে আমাদের নেতাকর্মীদের হুঙ্কার দিয়েছেন এখন আপনি কোথায়?
সাহস থাকলে আসেন দেখি। সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রাজত্ব করেছেন হুঙ্কার দিয়েছেন আজকে আপনি কোথায়? খেলা হবে খেলা হবে বলে আমাদের নেতাকর্মী অনেক ভয় দেখিয়েছেন। আপনার তো জানাজা পরার মানুষ পাওয়া যাবে না। সাহস থাকলে খেলতে আসেন। আপনি তো পালিয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীক নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, বিনা ভোটে নির্বাচিত মেয়র আইভী গতকাল ১০-১২ জন লোক নিয়ে শেখ মুজিবের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আপনাকে বলতে চাই ছাত্র জনতার রক্ত এখন শুকায়নি। রাজপথ থাকা ছাত্র জনতার রক্তের উপর দিয়ে আপনি ছবিতে ফুল দিয়ে কি বুঝাতে চান? আমরা আপনার এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই ওই অবৈধ সরকারের আমলে যত অবৈধ জনপ্রতিনিধি রয়েছে তাদের প্রত্যেককে বরখাস্ত করুন। তারা জনগণের ভোটে নয় একতরফায় জনপ্রতিনিধি হয়েছেন।
হত্যার বিচারের বিষয়ে বলে, নারায়ণগঞ্জে অনেক হত্যা হয়েছে ত্বকীসহ অনেক হত্যা। শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত এই নারায়ণগঞ্জকে যারা কলঙ্কিত করেছেন। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে। মেধাবী ছাত্র ত্বকী হত্যাকাণ্ড ও সাত খুনের জড়িতদের বিচার এই দেশেই আমরা দেখতে চাই। খুনিদের ঠিকানা বাংলাদেশ হবে না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলি, যারা লুটপাটে জড়িত হয়েছেন তারা বিএনপি নয়, তারা সুবিধাবাদী লোক, তারা বিএনপির বদনামে নেমেছে। লুটেরারা খালেদা জিয়া, আর আমাদের নেতা তারেক রহমানের কর্মী নয়। যারা সুবিধাবাদী তাদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। যারা ইতিমধ্যে এলাকায় এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের সম্পদ লুটে নিচ্ছেন তাদের লিষ্ট হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তাদের তুলে দেওয়া হবে। আমরা কাউকে হামলা করিনি কিন্তু যারা মামলা করেছেন, ধর্ষণ করেছেন, যাঁরা লুটপাট করেছে অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদের বিচার আইনের মাধ্যমে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি‘র ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি গাজী মনির, নং ওয়ার্ড সভাপতি২ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি আফজাল হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি শ্যামল, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোশাররফ হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি শামসুদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি বাবুল প্রধান, ১০ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী লেকুসহ প্রমুখ।