সন্ত্রাসী ভিকি-নেছারকে খুঁজছে মাসদাইরবাসী
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:২৯ এএম, ২২ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার
# এলাকাবাসী বলছেন, ক্ষমতায় থাকাবস্থায় সমন্ধী অয়নের নাম ভাঙিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করতো না। এদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
একাধিক মামলার আসামী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভিকি এবং কিশোরগ্যাং লিডার নেছারকে খুঁজছে বৃহত্তর মাসদাইর এলাকাবাসী। যার কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পুরো মাসদাইরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ওরা। এমপি শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমানের স্ত্রীর বড় ভাই হওয়ার সুবাদে পান থেকে চুন খসলেই তার নাম ভাঙাতো ভিকি ও তার ভাই নেছার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানো আগেই নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় শামীম ওসমান ও তার পরিবার। সেই ধারাবাহিকতায় আড়ালে চলে যায় ভিকি-নেছার ও তার দলের সন্ত্রাসীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমানের প্রভাব দেখিয়ে ভিকির নির্দেশে পুরো এলাকায় ঝুট সন্ত্রাস, মাদক কারবার ও পতিতালয় নিয়ন্ত্রণ করতো নেছার। আর তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতো মুসা মিয়ার পুত্র সুমন ওরফে টোকাই সুমন ও তার দলের সদস্যরা। এছাড়াও মিমাংসার নাম করে মানুষকে ঘর থেকে জোরজবরদস্তি তুলে নিয়ে আসা, অপহরণ, আটকে রেখে মুক্তিপন আদায়সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াতো এই চক্রটি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় অয়ন ওসমানের নাম ভাঙিয়ে পুরো মাসদাইর এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যা ভিকি-নেছার তার বাহিনীর সদস্যরা করতো না। পুরো মাসদাইরের সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচারে রীতিমতো অসহায় হয়ে পরেছিল। ভয়ে তটস্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস রাখতো না। কারণ ভিকি ছিল অয়ন ওসমানের সমন্ধী। সেই সূত্রে কিছু থেকে কিছু হলেই তারা অয়ন ওসমানের নাম ভাঙাতো। এখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় নেই। তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা। তবে, আমরা যারা সচেতন নাগরিক আছি তারা তাদের নামগুলো তালিকা করে রেখেছি। এলাকায় পা রাখলেই ওদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বৃহত্তর মাসদাইরের পঞ্চায়েত কমিটি, মসজিদ কমিটি ও সচেতন নাগরিকরা বলেন, অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী ভিকি, কিশোর গ্যাং লিডার নেছার ও মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে টোকাই সুমনকে পাকড়াও করার জন্যে সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমরা। সেনাবাহিনী চাইলেই এই সন্ত্রাসী, কিশোরগ্যাং লিডার ও মাদক কারবারীগুলোকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব। অন্যথায়, তাদেরকে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।