বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১ ১৪৩১   ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

সন্ত্রাসী নাছিরের দুই খলিফা দুর্ধর্ষ ইয়ামিন-পলাশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪ সোমবার

 

 

# এলাকাবাসীর অভিযোগ, সালিশের নামে জোরজবরদস্তি মানুষকে ঘর থেকে তুলে আনা, এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে কিশোরগ্যাং দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো ওরা।

 

প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানপুত্র আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড খ্যাত নাছিরের দুই খলিফা ইয়ামিন ও পলাশকে খুঁজছে সাধারণ মানুষ। কেননা, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ফতুল্লার বুড়ির দোকান, ইসদাইর এলাকাজুড়ে তাদের অপকর্মের কোন শেষ ছিল না। নাছিরের নির্দেশে সালিশের নামে জোরজবরদস্তি মানুষকে ঘর থেকে তুলে আনা, পুরো এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে কিশোরগ্যাং দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো তারা। 

 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নাছির ও তার দুই খলিফা ইয়ামিন-পলাশকে খুঁজে বের করে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তাদের প্রশ্ন, তাদের নামে কেনো কোনো মামলা হচ্ছে না? কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ওরা।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ফতুল্লার বুড়ির দোকান এলাকায় একটি অফিস খুলে বসেছিল নাছির। সেখানে বেশিরভাগ সময় বসে থাকতো নাছিরের সহযোগী আকবর ও দুই খলিফা ইয়ামিন-পলাশ। ওই অফিসে বসেই যতো অপকর্ম করতো তারা। বিচার সালিশের নামে মানুষকে ঘর থেকে তুলে এনে অফিসে ঢুকিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ। তাছাড়া পুরো এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসা দখল করে রেখেছিল তারা।

 

 এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে বিশাল বড়ো মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো ইয়ামিন ও পলাশ। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চাঁদা আদায়, মাহফিলের নাম কর চাঁদা উত্তোলনসহ বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের নামে সারা বছরজুড়ে টাকা উঠানোর নামে মানুষকে হয়রানি করতো এই দু’জন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন বলেন, নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের নাম ভাঙিয়ে বুড়ির দোকান-ইসদাইর এলাকায় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো নাছির ওরফে নোয়াখাইল্যা নাছির। আর তার সব অপকর্মের নেতৃত্ব দিতো ইয়ামিন ও পলাশ। সবচেয়ে বড় কথা কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও ছিল তারা। বিভিন্ন সময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলাকা থেকে বের হতে দেখা গেছে তাদের।

 

 এখন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় নেই। ওসমান পরিবারের সকলে পালিয়েছে। পালিয়েছে সন্ত্রাসী নাছিরও। আড়ালে চলে গেছে নাছিরের দুই খলিফা ইয়ামিন-পলাশ। বিগত সময়ের অপকর্মের জের ধরে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অথচ, আশ্চর্য্যরে বিষয় এই কুখ্যাত সন্ত্রাসীগুলোর বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হলো না!

 

সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী নাছির ও তার দুই খলিফা ইয়ামিন-পলাশের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে তাদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেয়া হোক। সেনাবাহিনী অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুড়ির দোকান-ইসদাইর এসে মহল্লার মুরব্বীদের সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবে তারা কতোটা দুর্ধর্ষ ছিল।