বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক সড়কেই ব্যর্থ কাউন্সিলর মুন্না

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু বর্ধিত সড়কটি যেনো এখন মরণফাঁদ। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সড়কটির বেহাল দশা। নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডের নিতাইগঞ্জের মোড় থেকে তামাকপট্টির মোড় পর্যন্ত সড়টি প্রায় ২০০ মিটার। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ লোক চলাচল করেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার অন্যতম একটি সড়ক হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বর্ধিত সড়ক।

 

 

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সড়কটি রয়েছে বেহাল দশা। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় ও মাজারি আকারের গর্ত। সামান্য বৃষ্টি আসলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকে পানি। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গর্ত গুলোতে প্রায় সময় উল্টে যায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এতে প্রায় সময় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ঐ সড়কের চলাচলকারি পথচারিরা।

 

 

এবিষয়ে এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই সড়কটির বেহাল দশা। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না। গত কয়েক মাস আগে পুরাতন ইট ও বালি দিয়ে দ্ইু দিন সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে এই্ সড়কটি সংস্কারের কাজ করেন কামরুল হাসান মুন্না। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পুরাতন ইট ভাঙ্গা ও বালি বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায়।

 

 

বর্তমানে সড়টির বিভিন্ন মোড়ে অনেক বড় গর্ত। এই গর্ত দিয়ে কোন রিকশা ঠিক ভাবে চলাচল করতে পারে না। এবিষয়ে আদর্শ বালিকা স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমি শহীদ নগর এলাকায় থাকি, আমার মেয়ে এই স্কুলে পড়ে। প্রতিদিন তাকে আমি স্কুলে নিয়ে আসি। বাসা থেকে আসার পথে একমাত্র এই সড়কটি আমাদের ব্যবহার করতে হয়।

 

 

কিন্তু বর্তমানে সড়কটির যে অবস্থা, এই সড়ক দিয়ে যেতেই বিরক্ত লাগে। শুধু বাধ্য হয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না একজন ব্যর্থ কাউন্সিলর। গত দুই বছরে এই একটি সড়ক তিনি সংস্কার করতে পারেন নাই। তার মতো কাউন্সিলর এই ওয়ার্ডে না থাকাই ভালো। সে শুধু পারবে টিসিবির পণ্য নয়-ছয় করতে। নির্বাচনের সময় তো অনেক আশ্বাস দিয়েছে।

 

 

এখন দেখতে পারছি সে এলাকার কি উন্নয়ন করেছে। এই একটি মাত্র সড়কেরই ব্যর্থ মুন্না। সে আবার এলাকার কি উন্নয়ন করবে। এবিষয়ে একজন ইজিবাইক চালক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটির মেরামত না করায় দিন দিন এর পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে এই বৃষ্টি এই রোদ। তার মধ্যে দুদিন আগে ড্রেন পরিষ্কার করা ময়লা গুলো এনে এখানে ফেলেছে। এতে আরো যেন গাড়ি চালাতে দুস্কর হয়ে পরেছে।

 

 

সড়ক ভেঙে এতোটাই গর্ত হয়ে গেছে যে গাড়ি নিয়ে যেতেও ভয় হয়, কখন না জানি উল্টে যায়। পাঁচ মিনিটের রাস্তা ১৫ মিনিট লাগে যেতে। এবিষয়ে নলুয়াপাড়া এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমরা এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করি। এই সড়কটির যে অবস্থা দেখে মনে হয়না এটা সিটি কর্পোরেশন এলাকা। দেখে মনে হয় কোন গ্রামের রাস্তা। আমরা চাই এই ওয়ার্ডের যে জনপ্রতিনিধি আছে সে যাতে নিজ দায়িত্বে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি