লাউ ডুগডুগি কাঁধে ৮২ বছরের বৃদ্ধ ফেরীওয়ালা আবুল হাশেম
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
৩ ফুট আকারের লাউ ডুগডুগি কাঁধে ৮২ বছরের ফেরীওয়ালা আবুল হাশেম বিক্রি করেন নানা ধরনের সব্জি বীজ। তবে বিশালকার লাউ খোলস বা ডুগডুগি দেখিয়ে বীজ বিক্রি করায় তার রয়েছে বেশ কদর। বছরের প্রায় ৬ মাস হাইব্রিড জাতীয় লাউ বীজ বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি। বাকি সময় কৃষি কাজ তার পেশা। কথা হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের উল্লাবো গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাশেমের সঙ্গে।
১২ সেপ্টেম্বর বিকালে প্রতিদিনের মতো ৪ টি প্রায় ৩ ফুট আকারের লাউ ডুগডুগি কাঁধে ধারাবাহিকভাবে ৫ গ্রাম ফেরী করে উপজেলার মধুখালী এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় আবুল হাশেম জানান, গত ২০ বছর ধরে লাউ বিজ বিক্রি করে আসছেন তিনি। প্রতি পিস ২ টাকা দিনে প্রায় হাজার টাকার বীজ বিক্রি করেন । বাকি সময় কৃষি কাজ করে সংসার চালান। এক সময় সেলোমেশিনে কৃষি খেতে পানি দিয়ে সংসার চালাতেন।
সময়ের আবর্তে রূপগঞ্জের ফসলি জমি আবাসন কোম্পানির বালির তলায় নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। ফলে পেশা বদলাতে চাইলেও কোন পেশায় খাপ খাওয়াতে পারেননি। তবে হাইব্রিড জাতীয় বড় আকারের লাউ ও বীজ আসার পর থেকে বাড়ির পাশের উচু জমিতে লাউ চাষ শুরু করেন।পরে বড় আকারের লাউ বীজের চাহিদা দেখে নেমে পড়েন বীজ বিক্রিতে।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১০ গ্রামের বেশি এলাকা হাটেন তিনি। ফলে ৮২ বছর বয়সেও রোগ বালাই নেই বলে দাবী করেন আবুল হাশেম। এ সময় লাউ ডুগডুগি তৈরীর কৌশল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা পরিপক্ক লাউ গাছে পাকানোর পর কাটতে হয়। এতে খোলস শক্ত হয়। পরে ওই খোলসের ভেতরের বীজ গোবর দিয়ে রাখা হয়। ২ সপ্তাহ পর খোলস থেকে বীজ বের করা হয়। খোলস দিয়ে তৈজস পাত্র, ডুগডুগি ইত্যাদি তৈরি হয়। তবে এটি সময় লাগে বেশি। প্রায় ৬ মাসের পরিশ্রমে এমন আকার ও ডুগডুগি উপযোগী করা হয়। এন. হুসেইন রনী /জেসি