বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার


বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়ে টানা দুই দিন মুষলধারে নামছে বৃষ্টি। কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে নারায়ণগঞ্জের নিচু এলাকাগুলো। শহরের প্রধান সড়ক বাদে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার গলিঅলিতে পানি জমে গেছে। এছাড়াও টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী সাধারণ মানুষ, পথচারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

 

একদিকে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে যানবাহন সংকটে প্রকট হয়ে ওঠে এই ভোগান্তি। গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে শহরে অনেকটায় যানবাহন সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী সহ বিভিন্ন অফিসগামী ও শিক্ষাথীরা। এবিষয়ে আব্দুল হালিম নামে একজন বলেন, দুই দিন ছুটির পরে আজ অফিসে যাচ্ছি, গতকাল আবার অফিস বন্ধ।

 

 

কিন্তু বৃষ্টির কারনে কোন রিকশা পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তিনগুণ ভাড়া চাচ্ছে। এখন দেখি হেঁটে যেতে হবে। এবিষয়ে চাষাঢ়া প্রিপারেইট স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সকাল ৮টার থেকে মেয়ের ক্লাস শুরু হয়। ১৫ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি রিকশা বা অটো রিকশার জন্য, কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। সময় মতো যেতে না পারলে আবার স্কুলের গেইট বন্ধ করে দেবে। এই বৃষ্টির জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে।

 

 

২নম্বর রেল গেইট এলাকায় একজন জুতা সেলাইকারী দুপুর ২টার দিকে জানান, তিনি এখনও কোন কাজ করেন নি। সকাল ৯টার দিকে তিনি দোকান খুলছে, কিন্তু কোন ক্রেতা নেই। শনিবারে ৩০টার কাজ করছি। বৃষ্টির জন্য মানুষ কম, তাই কেই জুতার কাজও করে না। এবিষয়ে একজন রিকশা চালক বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালাচ্ছি, এখন আর শরীর চলছে না। তাছাড়াও শহরের যেই যাত্রী আছে শুধু ভাড়া মুলাই।

 

 

কম ভাড়াও গিয়ে চলবে না। কারণ অনেক সড়কে পানি। এবিষয়ে দিগুবাজারে একজন মুদি দোকারদার জানান, বৃষ্টির কারনে বাজারে দুই দিন ধরে ক্রেতা কম। সকাল থেকে এই পর্যন্ত দুই-তিন হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করছি। দুপুরের দিকে যদি দেখি বৃষ্টি কমে নাই তাহলে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাবো। এবিষয়ে বন্দর খেয়া ঘাটের একজন মাঝি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সাথে নদীতে বাতাসও আছে।

 

 

বাতাস ও বৃষ্টির কারনে ঠিক মতো নৌকা চালানো যাচ্ছে না। নদীর মাঝে গেলেই নৌকা বাতাসে আরেক দিকে নিয়ে যায়। তাই অনেক নৌকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির কারনে যাত্রী কম, আর যে সকল যাত্রী আছে বেশীর ভাগ ট্রলারে যাচ্ছে। তাই নৌকার যাত্রী অনেক কম।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি