স্বেচ্ছাসেবক দলে ছোট ডেবিডের আর্বিভাব
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের শীর্ষসন্ত্রাসী বিভিন্ন অপকর্মের মূলহোতা ক্রসফায়ারে নিহত মোমিনুল্লাহ ডেবিড। যিনি এরশাদ আমলে ১৯৮৮ সালে কালাম ও কামাল নামে দুই জোড়া খুনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কিছু করতে না পারলেও ২০০১ সালের পর তৎকালীন ছাত্রদলের এই নেতা দানবে পরিণত হয়। খুন, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের সব ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সে সময়ে প্রতিদিন তার অবৈধ আয় ছিল ৭০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা। পরবর্তীতে শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পাওয়ার পরপরই দখলের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। মোমিনুল্লাহ ডেভিডের এই অবৈধ আয়ের উৎস ছিল সব ধরনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, শীতলক্ষ্যা নদীর চাঁদাবাজি, গার্মেন্টন্স জুট ব্যবসা, চোরাই তেল ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসের মহীরুহে পরিণত হয়েছিলেন ডেভিড। তারই বড় বোন (দিদির) ছেলে শাখাওয়াত হোসেন রানা।
যিনি বিগত দিনে ছাত্রদল করে পরবর্তীতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবদলের সদস্য সচিবের পদে আদিষ্ঠ হন। সে সময় বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজু করে রাজনীতি চলতে থাকে পরবর্তীতে গত বছর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বনে যান তিনি। এরপরপই ইউনিট কমিটি গঠনের নামে পদ বানিজ্যে শুরু করেন তিনি। কিন্তু একটি ও ইউনিট কমিটি এখনো গঠন করতে পারেনি তারা। বর্তমানে এই রানা তার মামা ডেবিডের মতোই দখল বানিজ্যে উঠে পরে লেগেছে।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপরই দখলের রাজনীতিতে মেতে উঠেন এই রানা। তার মামা ডেবিডের পথে হেঁেটই আধিপত্য বিস্তার করতে উঠে পরে লেগেছেন রানা। শুরু করে দিয়েছে মহানগরের আওতাধীন বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সেক্টর থেকে ইতিমধ্যে কোটি টাকার চাঁদাবাজিসহ ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, সদর-বন্দরে বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়সহ হাঁট-ঘাট দখলে মরিহা হয়ে উঠেছে এই ছোট ডেবিড খ্যাত রানা।
তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের মালিকানাধীন জেড-এন কর্পোরেশনের আওতাধীন শীতল পরিবহনের প্রায় ৪০টি বাস আগুনে পুড়ে ফেলেন দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ ৫টি বাস থাকলে ৪ আগষ্টের আন্দোলনে সেগুলোতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হলে সেগুলোর গ্লাস ভেঙে যায় পরবর্তীতে চৌরুঙ্গী পাম্পে সেগুলো রাখলে শাখাওয়াত হোসেন রানা সেগুলো সেখান থেকে রাতের আধারে ছিনতাই করে ঠিকঠাক করে শীতল বাসের কাউন্টার দখল করে সেখানে গ্রীন ঢাকা নামে অবৈধ বাস চালু করেন। যার নেই কোন রোড পারর্মিট। কিন্তু নাম পরিবর্তন করে দেদারসে অবৈধভাবে তার মামার মতোই ক্ষমতার প্রভাব খাটাচ্ছে তিনি। একই সাথে বাঁধন পরিবহন ও তিনি দখল করে তার নিয়ন্ত্রণেই পরিচালনা করছেন।
তা ছাড়া অভিযোগ রয়েছে গত ৫ আগষ্ট দুপুর থেকে থেকেই আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট পরিচালনায় মিশনপাড়াসহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি জড়িত ছিলেন এই রানা ও তাদের লোকজন। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নামে তিনি দখলের রাজনীতিতে মরিহা হয়ে উঠেছেন। এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাস টার্মিনাল ও বন্ধন বাস দখলে নিতে জাকির খান গ্রুপের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন এই শাখাওয়াত হোসেন রানা।
তা ছাড়া গত ৫ আগষ্টের পর সদর থানায় যোগদান করা ওসি সাত্তার ছিলেন তার মামা মাহাবুব উল্লাহ তপনের মামা শশুড় সেই সম্পর্কে তিনি সদর থানা ম্যানেজেই দীর্ঘদিন বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানার কুকর্মে ধ্বংস হচ্ছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার বহিস্কার দাবী করছেন স্বেচ্ছাসেবকদলের অন্য অন্য নেতাকর্মীরা। কারণ দেশ আবারো নতুন রূপে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার মান ধরে রাখতে এই সন্ত্রাসী রানার ঠাঁই স্বেচ্ছাসেবক দলে হলে সংগঠনটি কলঙ্কি হবে মনে করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে জানতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার চেষ্টা করা হলে ও তিনি তা রিসিভ করেননি।