বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১ ১৪৩১   ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

পূর্ব ইসদাইরে মালিকাধীন জমি দখলের চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার


নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব ইসদাইর এলাকায় জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে। গত ৭ অক্টোবর ফতুল্লা থানায় বাদী হয়ে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন জমির মালিক মো.জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, ফতুল্লা থানার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় অপেরা হাউজের পাশে এবং ক্যামব্রিয়ান স্কুলের দক্ষিণে আমার ক্রয়কৃত দশ শতাংশ একটি জমি রয়েছে।

 

 

সেই জমিটি আমি ২০২৪ সালের আগস্টে জমির আগের মালিক লিপি বেগম ও পপি বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করি। সেই সময় আমি জমির সকল কাগজপত্র তাদের থেকে বুঝে নেয়। জমি ক্রয় করার পরেই জমিতে আমার নামে সাইনবোর্ড ছিলো এবং জমির চারপাশে বাউন্ডারী দেওয়া দেয়াল ছিলো। সেই জমি দেখা-শুনার জন্য আমি নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রাখি এবং তাকে থাকার জন্য সেই জমিতে টিনসেড ঘর নিমার্ণ করে দেই।

 

 

কিন্তু হঠাৎ করে গত ৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে আমার ক্রয়কৃত জমি উপর টিটু ও মানিক নামে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাংচুর চালায়। সেখানে জোরপূর্বক জমিতে প্রবেশ করে আমার নিরাপত্তাকর্মীর মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে জমির সাইনবোর্ড, দেয়াল দেওয়া বাউন্ডারী ও টিনসেড ঘর ভাংচুর করে। পরে আমি খবর পেয়ে এসে দেখি আমার জমির দক্ষিণ ও উত্তর দিকের দেয়ালের বাউন্ডারী ভেঙ্গে গুরিয়ে দেয়।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার জমির পাশে থাকা জামিয়া কারিমিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো.সায়েম এর নির্দেশে মাদরাসার শিক্ষক মো.জোবায়েত এর নেতৃত্বে ৬তারিখে গভীর রাতে মাদরাসার কয়েকশত ছাত্র এ হামলা ও ভাংচুর চালায়। পরে এবিষয়ে আমি ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে প্রশাসনের লোকজন সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করে যায় এবং আমাকে আমার জমি নিরাপত্তার জন্য চারপাশে বেড়া দিতে বলেন।

 

 

কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আমি জমির পাশে বেড়া দেওয়ার কাজ করতে গেলে সেই মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা এসে আমাকে হুমকি-ধামকি ও বাঁধা দেয়। সেই সময় মাদরাসার শিক্ষক জোনায়েত আমাকে ও আমার শ্রমিকদের হুমকি দেয় এবং তার সাথে থাকা ছাত্ররা তেরে আসেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৮২ সালে এই জমি মো.সাহাবউদ্দিন সরদারের কাছ থেকে লিপি বেগম পাঁচ শতাংশ ক্রয় করে এবং পপি বেগম নামে আরেকজন পাঁচ শতাংশ ক্রয় করেন।

 

 

তারা দুইজনে মোট দশ শতাংশ জমি সাহাবউদ্দিন সরদারের কাছ থেকে কিনেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে আগস্ট মাসে লিপি বেগম ও পপি বেগম তাদের দশ শতাংশ জমি আমার কাছে ক্রয় করেন। কিন্তু বর্তমানে সেই জমি দখল ও বাঁধাগ্রস্ত করছেন জামিয়া কারিমিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা।

 

 

তারা জমির দেয়াল ভেঙ্গে চলাচল করার জন্য বালি দিয়ে রাস্তা তৈরী করেছে। তারা কেনো আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা করবে। তাদের তো মাদরাসা থেকে বের হওয়ারা জন্য অনেক বড় রাস্তা রয়েছে। তারা বর্তমানে ক্ষমতা দেখিয়ে আমার জমিটি দখল করতে চাচ্ছে। এই বিষয়ে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি