বাড়তি দামে পূজার সামগ্রী কিনছেন পূজারীরা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেবীর বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। তবে মুল পুজা শুরু হয়েছে আজ (বুধবার) সকাল থেকে । এবছর পুজোর তিথি খুব অল্প সময়ে ভোর বেলায় থাকার কারনে আগে থেকেই পুজোর সব সামগ্রী কিনছেন পূজারীরা। তবে গতবছর থেকে এবছর কিছুটা পুজোর সামগ্রীর দাম বাড়তি রাখছেন বিক্রেতারা।
পূজা উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান মুখরোচক খাবার হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েসসহ তৈরি করা হয় নানা স্বাদের খাবার। কাজেই পূজা উৎসবে নারিকেলের জুড়ি নেই। পূজোর বিভিন্ন স্বাদের খাবার তৈরিতে বাঙালির পূজাপার্বণে প্রধান উপকরণ নারকেল, গুড় ও চিনি। মাস খানেক আগে এসব সামগ্রী ক্রেতার হাতের নাগালে থাকলেও এখন এসব সামগ্রী আকাশ ছোঁয়া। পাশাপাশি পদ্মফুল,কলা,ডাব,নারিকেল,কর্পূর এসবের দামও বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি জোড়া নারকেল ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাস খানেক আগে প্রতি জোড়া নারকেল ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়াও ৯০ টাকা দরের গুড় কেজি প্রতি ১৩০ টাকা, ৮০ টাকার খই ১২০ টাকা, ৬০ টাকার চিড়া ৯০ টাকা দরে, ১০০ টাকার দেশি মুড়ি ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ১০৮টি পদ্মফুলের সেট ১ হাজার টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে যা গতবছর ৭০০-৯০০ টাকা দরে বিক্রি হতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন জোগান কম থাকায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় এ বাড়তি দাম হাঁকা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা পাইকাররা সামান্য খুব অল্প লাভে গুড়-নারিকেল বিক্রি করছি। তেমন দাম বাড়েনি । খুচরা পর্যায়ে বেশি লাভের আশায় দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে জয়ন্ত আগরওয়াল নামে এক ক্রেতা বলেন, গত দুই বছর থেকে নারকেলের দাম প্রচুর। ২০০ টাকার নারকেল এখন ৩০০ টাকার উপরে চলে গেছে। দেশী মুড়িতে বাড়তি দাম নিচ্ছে।
অপর ব্যক্তি দীপ্ত সাহা বলেন,গতবছর ১০৮টি পদ্মফুলের সেট ৬০০ টাকায় কিনেছি। এবছর তার ডাবল দাম চাচ্ছে । যার কাছে যত বেশি রেট নিতে পাচ্ছে সে কিনতে পারছে। ঈদ বলেন আর পূজা বলেন ,যেকোন উৎসব হলেই ব্যবসায়ীরা বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে। জেলায় পদ্মফুলের বানিজ্যিকভাবে চাষ নেই,তাই যে যার মতো দাম চায় আমাদের বাধ্য হয়ে তা কিনতে হয়। এন. হুসেইন রনী /জেসি