সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের ভয়াবহ বিস্ফোরণ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪ রোববার
সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাসের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনের দেয়াল উড়ে গেছে। এ ঘটনায় কবিতা বেগম (৪৫) নামে এক নারী পোশাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। ২০ অক্টোবর (রোববার) ভোর ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়া হৃদয়মনি ক্রিয়েটিভ স্কুল রোড এলাকায় রাশেদ মাহাজনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কবিতাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে।বিস্ফোরণে দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষের বারান্দার দেয়াল ভেঙে নিচে ছিটকে পড়ে। সিলিংয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। কক্ষের ভেতরের দেয়ালও ধসে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকার কবিতা বেগম ও তার ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কবিতা বেগমের স্বামী ও মেয়ে গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। গত এক মাস ধরে মা ও ছেলে দক্ষিণ কদমতলীর নয়াপাড়া এলাকায় রাশেদ মাহাজনের দুই তলা বাড়ির উপরের তলায় দুই রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। শনিবার রাতে ছেলের নাইট ডিউটি ছিল এবং মা কবিতা বেগমের ডিউটি ছিল পরের দিন রবিবার সকালে।
স্থানীয়রা আরও জানান তাদের ধারণা, শনিবার রাতে তাদের রান্না ঘরে চূলার চাবি অন করে রাখা ছিল। এতে ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার ভোর ছয়টার সময় কবিতা বেগম রান্না করতে চূলায় আগুন জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় এবং ঘরে আগুন ধরে যায়। তার চিৎকারে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাসহ স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং দগ্ধ কবিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের দুই রুমের সবগুলো দেয়াল ও দরজা-জানালা ধ্বসে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দুপুর একটায় ফায়ার সার্ভিসের আদমজী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মিরন সহ একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: মিরন জানান, গ্যাসের চুলা থেকে জমা হওয়া গ্যাস থেকে বিস্ফোরণটি হয়েছে। সম্ভবত রাতে চুলার সুইচ ভালো করে বন্ধ করেনি। সকাল গ্যাসের চুলাতে আগুন ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, আগুনে কবিতা বেগমের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।