অন্তর্কোন্দলে বিপর্যস্ত ফতুল্লা বিএনপি
সাইমুন ইসলাম :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৪১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভৌগলিক কারণেই নারায়ণগঞ্জের প্রাধান্য বেশি এই জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হলো ফতুল্লা। যে কোন দলের রাজনৈতিক আলোচনা হলেই প্রথমেই চলে আসে ফতুল্লার নাম। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান গ্রুপিংয়ের কারণে একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।
তথ্যমতে, ফতুল্লা থানা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মনোভাবে দুই মেরুতে অবস্থান করছেন। দলীয় কর্মসূচীতে ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে তারা আলাদাভাবে অবস্থান নিয়ে আসছে সবসময়। এর ফলাফলস্বরূপ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। একজনের ডাকে সাড়া দিলে আরেকজন সন্তুষ্ট হয়না। এর ফলে অনেকটা নিষ্ক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন বিশাল একটা অংশ। যার ফলশ্রুতিতে সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির। তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে জানা যায় ফতুল্লা থানা বিএনপিতে একাধিক গ্রুপের আবির্ভাব ঘটেছে।
ফতুল্লা বিএনপিতে নিজেদের মধ্যে বিভেদের কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিব্রত। তারা চেষ্টা করে সকল বলয় থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখতে কারণ একটি বলয়ে সংযুক্ত থাকলে বাকি বলয়ের নেতারা অসন্তুষ্ট হবে। ফতুল্লা থানা বিএনপির অন্তর্কোন্দল এতটাই চরম আকারে পৌঁছেছে যে সংগঠনের সিদ্বান্ত নিয়েও মানুষ এখন প্রহসন করে।
তাদের ভাষ্যমতে, সাধারণ সম্পাদক যদি কাউকে বহিষ্কার এর নির্দেশ দেয় তবে সভাপতি সেই নির্দেশনা বাতিল করে পুনর্বহাল করে। এতে করে সংগঠন একটি খেলার পুতুলে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে অবশ্য ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূইয়া বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সহ সভাপতি এই ৩ জনের মধ্যে যেকোনো দুজনের সম্মতিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।’
এই জনপদের বিএনপির মধ্যো অন্তর্কোন্দল এতটাই যে প্রকাশ্যে সংগঠনের দায়িত্বশীল একজন আরেকজনের উপর বিষেদাগার করে নিয়মিত। এতে করে নেতাকর্মীরা আক্ষেপ করে বলেন, ফতুল্লায় এখন বিএনপির রাজনীতি বলতে কিছুই নেই, সব হলো কাদাঁছুড়াছুড়ি। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপিকে মানুষ হাসির খোড়াক হিসেবে গ্রহণ করবে। তারা দাবি জানান, অতি শীঘ্রই এই ধরণের অন্তর্কোন্দল নিরসন করে ফতুল্লা থানা বিএনপিকে সংস্কার করা হোক।