মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অসিতের বাড়িতে রিয়াদ ও বিন্নির নেতৃত্বে হা*ম*লা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যরাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মারধর করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত সচিবকে। নাসিকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান ও ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নির নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ অসিত বরণের।

 

 

তিনি জানান, রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে শহরের সনাতন পাল লেনে তার বাড়িতে ঢোকেন একদল তরুণ-যুবক। তারা অসিত বরণের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তাকে খোঁজাখুজি করেন। ভয়ে অসিত বরণ তার ভাইয়ের ঘরে অবস্থান নেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে হামলাকারীদের সাথে সাবেক দুই কাউন্সিলরকেও দেখা গেছে। “আমার বাড়িতে হামলা হচ্ছে খবর পেয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব আবুল কালাম এদিকে আসছিলেন। তখন তাকে রাস্তায় পেয়ে ব্যাপক মারধর করে।” আবুল কালাম বলেন, “আমারে দেইখাই ‘ওইযে ধর, অসিতের সচিব’, এই বইলাই মারধর শুরু করে। কী কারণে মারলো তাও আমি বুঝতে পারলাম না।” এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অসিত বরণ বিশ্বাস।

 

 

এতে তিনি উল্লেখ করেন, “সাবেক কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান ও শারমিন হাবিব বিন্নির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। ভবনের তৃতীয় তলায় আমার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাকে খুঁজতে থাকে। তারা দরজা ভাঙার সময় ভয়ে আমি পাশের ফ্ল্যাটে আমার ভাইরে ঘরে অবস্থান নেই। আমাকে না পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।”

 

 

যদিও জানতে চাইলে রিয়াদ হাসান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমার ওয়ার্ডে রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন প্রসঙ্গে আমার বিরুদ্ধে একটি নিউজ হয়েছে। ওই বিষয়ে কী করা যায়, সে আলাপ করতে আমি কাউন্সিলর অসিতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার আগে তাকে ফোনও করেছিলাম। ফোনে না পেয়ে বাসায় যাই। আমি যেহেতু কাউন্সিলর ছিলাম, আমার সাথে কিছু লোক ছিল। এমন সময় এক চোর ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তখন তাকে ধরতেই সবাই বাড়িতে ঢোকে। আসলে, হামলার কোনো বিষয় হয় নাই।” 

 

 

শারমিন হাবিব বিন্নি বলেন, “স্থানীয় যুবকরা কালীপূজার আয়োজন করছিল। তখন আমি ওদিকেই ছিলাম। দুই কাউন্সিলরের মধ্যে কী ঝামেলা হইছে শুনে আমি সেদিকে গিয়েছিলাম। আমি বাড়ির সামনে থেকেই চলে আসছি। পরে হামলা বা কী হইছে আমি জানি না। আমার সাথে তো কোনো সমস্যা নাই, রিয়াদের সাথে জন্ম নিবন্ধন নিয়া কী ঝামেলা হইছে সেইটা সে জানে।” 

 

 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, “রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। আজ দুপুরে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।” এন. হুসেইন রনী /জেসি