সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পলিথিন ব্যবহারে সয়লাব
নুরুন নাহার নিরু
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:৩৯ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার
পরিবেশের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে পরিবেশের সুস্থতা রক্ষার্থে গত পহেলা নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে সারা দেশে একযোগে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় অন্তবর্তী সরকার। এর পরিবর্তে পাট, কাপড়ের ব্যাগ বা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয় সবাইকে। পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহারে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই। নগরীর সর্বত্র অবাধে ব্যবহার হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগ।
খালি হাতে বাজার করতে আসছেন ক্রেতারা। সবজি, ফল, মাছ কিংবা মাংস ক্রয়ের পর পলিথিন ব্যাগে করে তা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। নিষেধাজ্ঞার কথা জানা সত্ত্বেও পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করছেন তারা। পলিথিন ব্যবহারে অযুহাত হিসেবে বিক্রেতারা দায়ী করছেন ক্রেতাদের। তারা বলছেন পলিথিনের বিকল্প সহজলভ্য কোন ব্যাগ এখনো বাজারে নেই। ক্রেতারাও বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাওয়ার বিষয়ে উদাসীন।
ক্রেতারা খালি হাতে আসছে, তাই পলিথিন ব্যাগ দিচ্ছি। আবার ক্রেতারাও বলছেন, পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে অন্য কোন ব্যাগ নিতে সাছর্›দ্য বোধ করছেন না তারা। এছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, পণ্য বহনের জন্য পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী এখনও হাতের নাগালে আসে নি। যার কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে না পলিথিনের ব্যবহার।
নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় পাইকারি কাচা বাজার দিগুবাবুর বাজার। এই বাজারে দেখা যায়, সব ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় নিত্যপন্য বিক্রি করছে পলিথিনের ব্যাগে। বাজারে ফল বিক্রেতা আমিনুল হক বলেন, সরকার যদি পলিথিন বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরাও কাগজের ঠোঙা দিয়ে বিক্রি করতে পারব। এখনো পাইকারি পলিথিন বিক্রি হচ্ছে। মেইন কথা হচ্ছে, কারখানায় পলিথিন তৈরি বন্ধ না করতে পারলে এটা বাজারে এসে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা যাবে না।
অপর বিক্রেতার হারুন মিয়া বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আরো কয়েকবছর অনেক আগেই। এখন আবার নতুন করে অভিযান করে নিষিদ্ধ হয়েছে। পলিথিন ব্যাগ ছাড়া অন্য কোনভাবে শাক-সবজি দিতে পারছি না। ক্রেতারা কোন ব্যাগ সাথে আনে না। তারা যদি সাথে করে ব্যাগ নিয়ে আসতো তাহলে তো আমরা আর পলিথিনের ব্যাগে করে জিনিসপত্র দিতাম না। ক্রেতাদের প্রয়োজন না হলে, আমরা পলিথিন ব্যাগ রাখবো না। এন. হুসেইন রনী /জেসি