জেলা বিএনপিতে নয়া গ্রুপিংয়ে খোকন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৪ রোববার
বিএনপিতে দলীয় কোন্দল নিরসন করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের মন জয় করে সাধারণ জনগণকে ধানের শীষ প্রতীকের দিকে আসক্ত করতে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কিন্তু তার এই বার্তাকে তোয়াক্কা না করেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে দ্বন্দ্ব-গ্রপিং সৃষ্টির পায়তায় মগ্ন হয়ে পরেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত গোলাম ফারুক খোকন। এদিকে দলীয় কোন্দল নিরসন, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং, বিভাজন ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য রোধে কঠোর হচ্ছে বিএনপি। মূল দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে বিশৃঙ্খলাকারী নেতাদের লাগাম টেনে ধরতে চায় দলটি। একই সঙ্গে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় হাইকমান্ড।
তা ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে। কেউ কাউকে হেয় করে কথা বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে হেয় করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। যাদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করে গত (৮ নভেম্বর) ঢাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালীতে জেলা বিএনপির ব্যানারে র্যালীতে অংশগ্রহণ করেননি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। তিনি ফতুল্লার সেই একাংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ব্যানারের পিছনে অবস্থান করেছিলেন। যা নিয়ে জেলা জুড়ে বইছে নানা সমালোচনার ঝড়।
নারায়ণগঞ্জ জুড়ে একটাই আলোচনা বইছে যে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে কয়েকদিন যাবৎ অপপ্রচার ও হেয় করার চেষ্টার পেছনে কি সরাসরি খোকনের হাত রয়েছে কিনা। এদিকে বিগত দিনে জেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করার জেরে সাধারণ সম্পাদকের পদ হারাতে হতো তাকে। কিন্তু গিয়াসের নানা কারিসমায় আজকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আদিষ্ঠ হয়েছেন খোকন। এর পরে ও নয়া গ্রুপিং এর পায়তারায় মগ্ন হয়ে পরেছেন তিনি। যাকে ঘিরে শুক্রবার ঢাকার পোগ্রামে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারে ও হাজারো নেতাকর্মী লক্ষ্য করা গেলে ও দেখা যায়নি কথিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে। গিয়াসের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির র্যালি অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়।
এদিকে গেলাম ফারুক খোকনকে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ব্যানারের পিছনে ঘন্টা ২ এর মতো নটডরেম কলেজের সামনে দেখা গেলেও পরবর্তীতে উধাও হয়ে যান তিনি। তা ছাড়া নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র্যালিতে শৃঙ্খলা ও র্যালি মনিটরিং করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সে সময় তারা জেলা বিএনপির ব্যানারের পিছনে সভাপতি গিয়াস উদ্দিনকে দেখতে পান ও মাইকে সম্মানের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির বিশাল শোডাউন প্রকাশ হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে চুপি চুপি কথা লক্ষ্য করা যায়। যার মাধ্যমে আর বুঝতে দেরি নেই খোকনের রাজনীতি ব্যাকফুটে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছেন এই গোলাম ফারুক খোকন। নব্য এই রাজনৈতিকবিদ যিনি অল্প কিছুদিন যাবৎ রাজনীতিতে এসেই বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর ছত্রছায়ায় ছাত্রদলের কোন রাজনীতি বা পদ-পদবীতে না থেকেই প্রথমে একটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পরবর্তীতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া পর পরই দিপুর আর্শিবাদে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বনে গেছেন এই গোলাম ফারুক খোকন। এদিকে বর্তমানে গিয়াসের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একটি চক্র প্রকাশ্যে গিয়াসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাদের সাথে এই গোলাম ফারুক খোকনের অনেকটাই সুসম্পর্ক যা আজকের রাজধানীর প্রেগামেই প্রকাশ পেয়েছে।
অনেকে আবার বলছেন গিয়াসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের সাথে খোকনের কোন হাত রয়েছে কি না তা নিয়ে ও চলছে সমালোচনা। তা ছাড়া বর্তমানে শুধু রূপগঞ্জ দখলেই রাখতে ব্যস্ত খোকন। আর সেখানে কেউ হাত দিলে তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবেন তিনি এমনটাই বলতে শোনা গেছে তার দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে। এদিকে গত ২০২৩ সালের (১৭ জুন) সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি হয় মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম ফারুক খোকন। যাকে ঘিরে ২ নেতাই জেলা বিএনপি দীর্ঘদিন চলতে থাকে।
এদিকে গিয়াস উদ্দিন বিভিন্ন সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে ও এই খোকন পূর্ণাঙ্গ কমিটি পিছিয়ে রেখেছেন। তিনি ইউনিট কমিটিতে গিয়াসের কারণে বানিজ্যে না করতে পারায় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বানিজ্যে করার পায়তারা করছিলেন বলে জানিয়েছে সূত্র। বর্তমানে রূপগঞ্জ দখলে নিতে জেলা বিএনপির নাম খারাপ হওয়ায় সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তার উপরে ক্ষোভ করলে তিনি এবার গিয়াস উদ্দিনকে মাইনাস করে জেলার দায়িত্ব পেতে নয়া গ্রুপিংয়ের পায়তারায় মগ্ন হয়ে উঠেছেন।