কোন অপশক্তির কাছে মহানগর বিএনপি মাথা নত করবে না : এড. সাখাওয়াত
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহেন শাহ আহম্মেদের উদ্যোগে হাজারো নেতাকর্মীর বিশাল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, আর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর ) বিকেল চারটার দিকে বন্দর সোনাকান্দা থেকে শুরু করে বন্দরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় । এসময়ে বন্দর থানা নেতাকর্মীরা বিশাল বড় দলীয় ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিকৃত বড় বড় ফেস্টুন ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো বন্দর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা রাজপথে ছিলেন, যারা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন মহানগর বিএনপি শুধু তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে।
দলের নিবেদিত প্রাণ এ সকল নেতাকর্মীরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে এই শাহেনশাহ আহমেদ, মাজারুল ইসলাম হিরন, নাজমুল হক রানা, হারুনুর রশিদ লিটন, মহিউদ্দিন শিশিরসহ যারা হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন, তাদেরকে সাথে নিয়েই বন্দরে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করবো। কোন অপশক্তির কাছে মহানগর বিএনপি মাথা নত করবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন শুধুমাত্র দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
এ সময় শাহেন শাহ আহম্মেদ বলেন, আমরা বন্দরের স্বচ্ছ রাজনীতি করি, তারেক রহমানের রাজনীতি করি। আমরা কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যাই না। কিছুদিন পূর্বে আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা টিপু ভাইয়ের উপর যে হামলা করেছে। হামলার মাধ্যমে তারা নেতার ভাব নিতে চেয়েছিলো। আমি তাদেরকে ঘৃণা করি। তিনি আরো বলেন, টিপু ভাইয়ের উপর যারা হামলা করেছে আমি শাহেন শাহ চাইলে তাদেরকে যা ইচ্ছা তা করতে পারি।
কিন্তু আমার সে নোংরা রাজনীতি করি না বলেই চুপ আছি। তিনি বলেন, আজকে যে বয়স তারা বড় বড় কথা বলছেন আমরা চাইলে তাদের উপর হামলা করতে পারি কিন্তু আমরা এই ধরনের রাজনীতি করি না। আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি, আপনারা নোংরা রাজনীতি থেকে ফিরে এসে সাখাওয়াত ও টিপু ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপিতে চলে আসুন।
এ সময় বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহম্মেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল।
নাসির উল্লাহ টিপু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, সোহেল খান বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন পাঠান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা।
সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বেপারী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুনসহ প্রমুখ। এন. হুসেইন রনী /জেসি