সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুর্ধর্ষ সৈকত রাজ আতঙ্কে কুতুবাইল-কাঠেরপুলবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

শিল্পাঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এ জনপদের  ঝুট সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণে নিতেই মূলত এই অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এবং সক্রিয়।দলের নাম ব্যবহার করে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিতে পটু তারা।  এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা পরিচয় দানকারী সৈকত রাজ। তার সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা যায়,  এই সৈকত রাজ স্থানীয়দের মাঝে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেন না। চাঁদাবাজি থেকে ঝুঁট সন্ত্রাসী, মারামারি থেকে প্রভাব বিস্তার তার নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। কোতালেরবাগের মাদকের ব্যবসা তার নিয়ন্ত্রণে। 

 

এই সৈকত কোতালেরবাগে আট থেকে দশটি মাদকের স্পট পরিচালনা করেন।  মাদক বিক্রির দায়ে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একাধিক কিশোরগ্যাং গ্রুপ। এলাকায় পান থেকে চুন খসলেই সৈকত ও তার বাহিনী এলাকায় বিশৃঙ্খলা করে সবাইকে আতঙ্কে রাখে। তাদের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ। 

 

 

এ সৈকত রাজ সম্পর্কে এলাকাবাসী বলেন, এই সৈকত পূর্বে আওয়ামী নেতাদের সংস্পর্শে থেকে তাদের থেকে বিভিন্ন রকমের সুবিধা নিয়ে এতদিন যাবত বিলাসীভাবে চলে আসতেছিলো। হঠাৎ করে সরকার পতনের পর তিনি যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে এক প্রকার জিম্মি করে রাখেন। সকল ধরনের অপকর্ম এই সৈকত করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। এলাকায় সামান্য কিছু হলেই এই সৈকত ও তার বাহিনী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় তান্ডব চালায়। স্থানীয়দের দাবি এই সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করছে না। দুর্র্ধষ এই সৈকতকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা। 

 


এলাকার সুশীল ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় এ সৈকত রাজ অতি ভয়ানক একজন যুবক। কিশোর গ্যাং ও মাদকব্যবসা সম্প্রসারণ করতেই তিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মগুলো করছেন। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। তবে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তার গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকটা হতাশ এলাকাবাসী। তারা অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে সৈকত রাজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।