সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাগলায় অবাধে চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানা  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ রোববার


দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণা হলেও ২২ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেন। অবশেষে অন্তর্র্বতী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ বিষয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।

 

 

পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। এর পরিবর্তে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

 


জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্প নগরী এলাকা আর এই জেলার বিভিন্ন  এলাকাতে দিন দিন বেড়েই চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানা। আর সেটা কোন ভাবেই থামানো সম্ভব হচ্ছেনা। যে যেভাবে পেড়েছে লাইসেন্স ছাড়া কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত করেছে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা। তবে পলিথিন একেবারে নিষিদ্ধ হলেও এখনো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বেশ কয়েকটি পলিথিন কারখানা এখনো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি পলিথিন কারখানা বন্ধ হলেও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এখনো ফতুল্লার পাগলা এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ পলিথিন কারখানা চালু রেখেছে।

 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল এই সকল কারখানা মালিকরা কাউকে ভয় না পেয়ে অবাদে তাদের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেছে। এই ব্যবসা সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, আমরা সবকিছু ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করে যাচ্ছি। প্রশাসন, সাংবাদিক, নেতাসহ বিভিন্ন নেতাসহ লোকদের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই তাই কাউকে তোয়াক্কা করিনা। আমাদের ব্যবসা চলবেই নিউজ করলেও কিছু হবেনা।

 

 

আমাদের ফ্যক্টরী চালাতে কোন ধরনের কাগজপত্র লাগেনা। দেখা গেছে বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যামিক্যাল মিশিয়ে নোংরা পরিবেশে বানানো হচ্ছে এই ধরনের নিষিদ্ধ পলিথিন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, পলিথিন একেবারে নিষিদ্ধ করার ঘোষনা আরও ১৫ দিন আগে হলেও এখনো ফতুল্লার পাগলা স্টান্ড, নন্দলালপুর সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এখনো এই অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরীগুলো প্রকাশ্যে চালাচ্ছে।

 


পরিবেশ অধিদপ্তর আইনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫(সংশোধীত) আইনে আছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সমগ্র উৎপাদন বিক্রয় ইত্যাদির ওপর বাধা নিষেদ ( নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনবা সপলি ইথাইলিন বা পলি প্রিপাইলিনের ব্যাগ) উৎপাদন আমদানী ও বাজারজাতকরণ করে তাহলে এই অপরাধের ক্ষেত্রে অনাধিক দুই বছরে কারাদণ্ড বা অনাধিক ২ লক্ষ টাকা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

 


পরবর্তীতে প্রতিটি অপরাধের অন্যুন ক্ষেত্রে দুই বছর অনাধিক দুই ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড । দ্বিতীয়ত পলিথিন বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন ,মজুদ বিতরন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে  ব্যবহার কারনে ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পরিবেশের জন্য এই সকল ক্ষতিকর পলিথিনের জন্য শাস্তিমূলক আইনের ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘদিন যাবৎ হচ্ছেনা এই ধরনের অবৈধ পলিথিন কারখানার বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যবস্থা। তারা তাদের ব্যবসায়িক সার্থের আসায় এলাকার নেতাদের ম্যানেজ করে তাদের ব্যবসা চালাতো।

 


এলাকাবাসী জানায়, এ সকল কারখানা গুলো এখনো বন্ধ না হওয়ার কারণে পরিবেশর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের উচিৎ অতিদ্রুত এই ধরনের অবৈধ পলিথিন কারখানা থেকে যে মানুষকে রক্ষা করা।

 


এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার পরেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।       এন. হুসেইন রনী  /জেসি