ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ রোববার
# খুনি হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন : টিপু
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে তাক লাগানো বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদল।
গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এই বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের মেট্রোহল দিয়ে মিশনপাড়া হয়ে চাষাড়া চত্বর ঘুরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিকৃত বড় বড় ফেস্টুন - ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর।
এ দিকে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্ণাঢ্য র্যালিকে সফল করতে দুপুর থেকেই মহানগর যুবদলের আওতাধীন সদর থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, বন্দর থানা ও উপজেলা, ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সু- সজ্জিত হয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে খানপুর হাসপাতাল রোডের মহানগর যুবদলের মূল বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
র্যালির পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, কোন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশের মাটিতে তাঁরা থাকতে পারবে না। তারা গত ১৫ বছরে গুম করেছে, খুন করেছে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইল অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
অন্যথায় মহানগর বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা ওই সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার দোষর যারা এ নারায়ণগঞ্জকে গডফাদারের নগরীতে পরিণত করেছিল তাদেরকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করবে। আমরা বলতে চাই যারা বিগত ১৫ বছর সন্ত্রাস করেছেন শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের পরিবারকে সহায়তা করে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানিও নির্যাতন করেছেন তারা কিন্তু এখনো নারায়ণগঞ্জে আছেন। বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন সেক্টরে বহাল রয়েছে। তাদেরকে যদি কেউ সহায়তা করে তাহলে এই যুবদলের নেতা কর্মীরাই তাদেরকে প্রতিহত করবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী দিনে ৫ আগস্ট যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এবং এদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বিগত ১৫ বছর যারা এই নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশকে শোষণ করে গুম, খুন ও হত্যার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে নকশাবন্দী করেছিলেন। দেশে বাকশালী কায়দায় দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৫ সালের মতো দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে এত বড় একটি সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য মহানগর যুবদলকে ধন্যবাদ ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে মহানগর যুবদল নারায়ণগঞ্জের মধ্যে একটি অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আজকে তারাই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানের নির্দেশনা কিন্তু আমরা এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। সুতরাং আমি যুবদলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ফ্যাসিস খুনি হাসিনা গত ১৬টি বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে এবং দেশের স্বাধীনতাকে প্রকৃত করেছে। খুনি হাসিনা স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম এদেশ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
তাই আজকে থেকে আপনারা শপথ গ্রহণ করবেন আগামী প্রজন্মকে আপনার বলবেন এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আদিবাতের হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি মাধ্যমে এদেশকে একটি উন্ন য়নশীল রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। আর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের যে সকল সরকারি দলের দালালরা গত সরকারের দলের শেল্ডারে থেকে উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন এখন তারাই আবার ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলছে। তাদেরকে একটি কথা বলতে চাই আপনাদেরকে জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের মানুষ মহানগর যুবদলের যথেষ্ট। কারণ যুবদল অতীত ও রাজপথে ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব মুখ সামলিয়ে কথা বলবেন নিজের ঘরের সামনে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। আগামীতে মহানগর বিএনপি যুবদল ও সকল মিলে ওই দালালদেরকে চিহ্নিত করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ- সভাপতি আঃ রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, মহানগর যুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, আশিকুর রহমান অনি, কামরুল হাসান, অদুদ সাগর, মিনহাজ মিঠু, শাহীন শরীফ, আরিফ খান, জহিরুল ইসলাম হারুন, মো. বাদশা, সাদ্দাম, মো. শাকিল, পলাশ বেপারীসহ প্রমুখ। এন. হুসেইন রনী /জেসি