রাজপথের আস্থার প্রতীক সাখাওয়াত-টিপু
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে মহানগর বিএনপি। এই সংগঠনটির নাম মুখে আসলে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম পালনে রাজপথে থেকে হামলা-মামলা-নির্যাতনের শিকারে যাদের নাম বারবারই উঠে আসে তারা আর কেউ নয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এদের নেতৃত্বেই দলের দুঃসময়ে দীর্ঘদিন চাঙা ছিলো মহানগর বিএনপির রাজনীতি। আওয়ামী লীগের রোষানলে পরে নিজেদের জীবনবাজি রেখে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন এই দুই প্রবীন বিএনপি নেতা।
এছাড়া ও নারায়ণগঞ্জে গডফাদার-ওসমানদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে কমিটি হওয়ার পর থেকেই টানা ২ বছর দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক বিশাল আকারে প্রায় দুইশত এর উপরে কর্মসূচি পালন করেছেন রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েই। এদিকে গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ পালনে যখন বিএনপির বহু নেতাকর্মী মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন সে সময় দিনে-রাতে বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিল নিয়ে মাঠে সক্রিয় ছিলো এই সাখাওয়াত-টিপু। যাকে ঘিরে আওয়ামী লীগসহ সদর থানা পুলিশ তথা নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছিলেন মহানগর বিএনপির এই দুই নেতা। যার প্রেক্ষিতে রাজপথ থেকেই কর্মসূচি পালনকালে সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু হয়েছিলেন গ্রেফতার। কিন্তু কোনভাবেই দাবানো যায়নি মহানগর বিএনপিকে টিপুর গ্রেফতারে একাই রাজপথে সদর থানা বিএনপিকে নিয়ে থাকতেন আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত।
এ ছাড়া ও নিজ সংগঠনের সদস্য সচিবসহ নিয়মিত রেখেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর। সব কিছুর বাহিরে পুলিশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাশকতা মামলায় জেলে যাওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তি করতে উকিলি ফ্রী সার্ভিস দিতেন সাখাওয়াত-টিপু। এর বাহিরে ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চাষাড়া জুড়ে দফায় দফায় সারসারি সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের নেতৃত্বের। সর্বশেষ গত ৫ আগষ্টের গণঅভুত্থানের পর জেলাতে উত্তাপ ছড়িয়ে পরলে ও মহানগর জুড়ে পুরোই নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন এই দুই নেতা। দিচ্ছেন সন্ত্রাস-মাদক-চাঁদাবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার। সর্ব দিক মিলিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বর্তমানে এই দুই নেতাকে রাজপথের আস্থার প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বর্তমানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালির পর থেকেই মহানগর জুড়ে সাখাওয়াত ও টিপুর নির্দেশনায় ইতিমধ্যে মূল দল থেকে শুরু করে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল র্যালী করেই যাচ্ছেন। আর সকল র্যালীতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির চেয়ার অলঙ্কিত করছেন সাখাওয়াত ও টিপু। এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রানি, নির্যাতন ও ধরপাক্করের যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার আশংকায় থাকার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভাগ্যের পরিবর্তন হয় পটপরিবর্তনের পর। আর সর্বশেষ দূ:সময়ে ও এই সংগঠনটির নেতৃত্ব দেন সাখাওয়াত-টিপুর বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি।
সূত্র বলছে, গত ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যেখানে আহ্বায়কের দায়িত্ব পান এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এই কমিটিকে অবমূল্যায়ন করে একটি পক্ষের ১৫ জন বিদ্রোহ করে একাংশ মহানগর বিএনপির ব্যানারে আন্দোলন সংগ্রাম ও মূল কমিটির সাথে বিভিন্ন ইউনিটের পাল্টা কমিটি ও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কোনভাবেই দমানো যায়নি এই দুই নেতাকে। বিভিন্ন সময় মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে যাবে গুঞ্জন উঠালে ও দুই নেতার নেতৃত্বেই আছে মহানগর বিএনপি। এদিকে বর্তমানে মহানগর বিএনপির এই দুই নেতার মূল প্লাস পয়েন্ট হলো এক যুগের ও বেশি সময় পর এদের নেতৃত্বেই যোগ্যতা যাচাই করে গঠন করা হয়েছে ইউনিট কমিটি। যার মাধ্যমে চাঙা হয়ে উঠেছে সংগঠনটি।
এ ছাড়া ও বিভিন্ন্ভাবে অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলো নিজেদের আওতায় রেখেছেন যা অনেকটাই অবাক করার মতোই। যা মাধ্যমে বারবারই নিজেদের যোগ্যতার প্রমান তারা দিয়েই যাচ্ছেন। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে অর্ধেক হয়ে গেলে ও রাজপথে জেলা বিএনপি থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহানগর বিএনপির রাজনীতি। এদিকে গত (৮ নভেম্বর) ঢাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালিতে ঢাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন মহানগর বিএনপি। এই কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির পরে রাজপথে অনেকটাই ঝিমিয়ে পরেছে জেলার নেতৃবৃন্দ। এর পর থেকেই এসে কেন্দ্রীয় ঘোষিত অংশ হিসেবে গত (১১ নভেম্বর) মহানগর বিএনপির নির্দেশনায় বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ শাহেন শাহ আহম্মেদ বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বিশাল র্যালির আয়োজন করেন সেখানে ও প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
একইভাবে (১২ নভেম্বর) বন্দর উপজেলার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির এই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। (১৪ নভেম্বর) শহরে সদর থানা বিএনপির আয়োজিত র্যালিতে ও ঠিক আগের মতোই সামনের সারিতে থেকে স্লোগান দেন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে তাদের এই একত্মতা অনেকটাই শক্তিশালী রেখেছে মহানগর বিএনপিকে। শুধু মূল কমিটির ইউনিটগুলো নিয়েই ব্যস্ত নয় সাখাওয়াত-টিপু তারা দুইজন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে তাদের নেতৃত্বে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালিতে সামনের সারিতে ছিলেন মহানগর বিএনপির প্রবীন এই দুই নেতা। গত (১৫ নভেম্বর) মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সাখাওয়াত টিপু। একই সাথে (১৬ নভেম্বর) মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের র্যালিতে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা করেছেন এই মহানগর বিএনপির পরীক্ষিত এই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
গত (১৭ নভেম্বর) মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান মহানগর যুবদল নেতা কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নেতৃত্বে শহরের ডিআইটিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। পরবর্তীতে গতকাল (২১ নভেম্বর) মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস. এম আসলাম ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি করেন মহানগর শ্রমিক দল। যেখান প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এই সাখাওয়াত ও টিপু। বর্তমানে এদের দুই বলিষ্ঠ নেতার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই চাঙা অবস্থায় রয়েছে।