না.গঞ্জ বিএনপির সাবেকরা ফের আলোচনায়
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ রোববার
নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সাবেক সাংসদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বিএনপির প্রবীণ নেতারা জনপ্রিয়তার প্রভাবে ফের লাইমলাইটে। বয়সের ভারে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে প্রকাশ্যে নেতৃত্ব না দিলেও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে তাদের নির্দেশে ছিল সক্রিয়। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে কুটশা রটিয়ে তাদের ব্যাকফুটে ও নেতৃত্বশূণ্যের পায়তারা করে আসলেও তার ফের তাদের অর্জিত জনপ্রিয়তার প্রভাবে ফের লাইমলাইটে।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বপালনকারী এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রেজাউল করিম সোনারগাঁয়ে একটি সময় নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে বয়সের ভারে প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন দলীয় নেতৃত্ব না দেয়ার ফলে তাঁকে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক নানা রকম অশালীন ভাষায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এছাড়া মান্নান-মোশারফ বর্তমান সময়ে রেজাউল করিম ও তার সমর্থকদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে রেজাউল করিমের জনসভা বা সভা সমাবেশ পন্ড করার পায়তারা করেন। কারণ রেজাউল করিমকে মাইনাস করতে পারলেই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মান্নানের রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাবে।
তবে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ে সংসদ থাকাবস্থায় যে পরিমাণ উন্নায়ন হয়েছে এবং জনগণের সাথে তার যে পরিমাণ সম্পৃক্ততা ছিল তারই ধারাবাহিকতায় সেসময় ধেকেই রেজাউল করিমের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) সাবেক এমপি আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর বেশকয়েকবার বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ হয়েছেন। তবে এবারও আসন্ন নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচনের সম্ভাভ্য প্রার্থী যার কারণে তার প্রতিপক্ষ বিএনপির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত।
তার অংশ হিসেবে তার পথসভায় ইটের ট্রাক দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আজাদ অনুসারী নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজনীতিতে তাঁকে ঘায়েল করতে ব্যাপক নীলনকশা এটেছেন বলে আঙ্গুর অনুসারীদের দাবি। তাছাড়া আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির অধিকাংশ প্রবীণ নেতারা নেতৃত্ব না দিলেও আতাউর রহমান আঙ্গুর ছিল সক্রিয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম হ্েচ্ছন দীর্ঘ দিন বয়সের ভারে রাজনীতিতে নিশক্রিয় থাকলেও তার পুত্র আবুল কাউছার আশা এবং ভাই আতাউর রহমান মুকুল তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের সাথে ছিল। তবে গত ৫আগস্টের পর বিএনপির আবুল কালাম পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যার কারণে বিএনপি থেকেও তাঁকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনের জন্যও তিনি সম্ভাভ্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। তবে মহানগর বিএনপি নিয়ে তার সমর্থকদের সাথে মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যকার রেশ থাকার কারণে তাঁকে প্রায়ই মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে আবুল কালামকে নিশক্রিয় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে একাধিকবার সাংসদ থাকার সুবাধে তার জনপ্রিয়তা থাকায় এই জনপ্রিয়তার প্রভাবে আবারও লাইমলাইটে এসেছেন আবুল কালাম।