কাঠেরপুলের ঝুট নিয়ন্ত্রণে মারুফ বাহিনীর নয়া কৌশল
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার
কাস্টমস কর্মকর্তা থেকে নব্য ঝুট সন্ত্রাসী মারুফ প্রধানের নানা নেতিবাচক কর্মকান্ডে গোটা কাঠেরপুলে বইছে সমালোচনার ঝড়। তথ্যমতে, স্থানীয় সন্ত্রাসী, কিশোরগ্যাং লিডার, মাদক ব্যাবসায়ীদের সমন্বয়ে ঝুট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের লক্ষে মারুফ প্রধান নিজস্ব আঙ্গিকে একটি গ্রুপ গঠন করে। এই গ্রুপটি নারায়ণগঞ্জের সাবেক এক বিএনপি নেতার নাম ব্যাবহার করে এতদিন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো। তবে বিভিন্ন কারনে নিজেদের মধ্যো আন্তঃকোন্দল ও সুবিধে করতে না পারায় এখন নয়া কৌশলে এগুচ্ছে মারুফ বাহিনী। সূত্র বলছে, মারুফ ও তার বাহিনী এখন ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রনের লক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের নাম ব্যবহার করছে।
সম্প্রতি মারুফ প্রধানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা হওয়ার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, মাদক বন্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে মারুফ প্রধান এর অনুসারীরা। এই মিছিলে বক্তব্য রাখেন মারুফ প্রধানের অন্যতম সহযোগী সোহেল এর বাবা বিএনপি নেতা পরিচয় দানকারী অলি আহমেদ। তিনি বক্তব্যকালে জাকির খানের মুক্তির দাবি জানান। তার এ বক্তব্যের পর এলাকায় চলে হাস্যরস। ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রনের লক্ষেই মারুফ ও তার বাহিনীরা জাকির খানের অনুসারি পরিচয় দিচ্ছেন অথচ বিগত সরকারের শাসনামলে তাদের সংগ্রামের সময়ে কোথাও দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
স্থানীয় এলাকাবাসী এই মারুফ প্রধানের বাহিনী সম্পর্কে বলেন, মারুফ কাস্টমস কর্মকর্তা হলেও আকস্মিক ঝুট সেক্টরে নজর পরে তার। এই লক্ষে এলাকার সবচেয়ে তুমুল সমালোচিত যুবক মাদক ব্যাবসায়ী সোহেল ও রানা,আহাদুর রহমান অয়ন এই যুবকদের কাধে ভর করে নিজেরা সংঘবদ্ধ হতে থাকে। মাদক সেবন করে এলাকায় মহড়া দিয়ে তারা তান্ডব চালায়। তাদের লক্ষ এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা।
মারুফ বাহিনী সম্পর্কে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, এই বাহিনীর সোহেল এলাকায় চিহ্নিত মাদক সম্র্াট হিসেবেই সুপরিচিত। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। এমনকি তিনি মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার দায়ে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। শুধু মাদকই নয়। এলাকায় চাঁদাবাজী,ঝুট সন্ত্রাসী, কিশোরগ্যাং পরিচালনা করাসহ বহু অপকর্মের সাথে এই সোহেল জড়িত বলে এলাকাবাসী জানায়। তার বিরুদ্ধেও ফতুল্লা হত্যা চেষ্টা মামলাও রয়েছে। সোহেলের বাবা অলি আহমেদও প্রকাশ্যে মারুফের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।
মারুফের আরেক শক্তির জায়গা বহু অপকর্মের হোতা রানা। রানার সম্পর্কে এলাকাবাসী জানায় সোহেলের অনূরুপ হলো রানা। সোহেলের মাতোই মাদক সম্্রাট হিসেবে পরিচিত রানা। এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের শেল্টারদাতা হিসেবে পরিচিত এই রানা। এছাড়াও কিশোরগ্যাং লালন পালন, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ঝুট সেক্টরে অশান্তিসহ নানা অপকর্মে এই রানার সংশ্লিষ্টতা ওপেন সিক্রেট বলে জানান স্থানীয়রা।
রানা ও সোহেলের মতোই আহাদুর রহমান অয়নও মাদক, কিশোরগ্যাং, ঝুট সন্ত্রাসী, কিশোরগ্যাং গ্রুপ পরিচালনাসহ নানা অপকর্মে যুক্ত বলে জানান কাঠেরপুল-কোতালেরবাগবাসী।
এই আহাদ বিগত সরকারের শাসনামলে আওয়ামী পন্থীদের সুবিধা ভোগ করলেও সরকার পতনের পর নিজেকে ত্যাগী বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এলাকার মানুষ মারুফ ও তার বাহিনী সম্পর্কে জানায় মারুফ ও তার সহযোগী
সোহেল,রানা,আহাদ,শান্ত,গোলজার,মোনায়েমসহ যারা কাঠেরপুল এলাকাকে অশান্ত করে রাখছেন ও নানা অপকর্ম করে বেরাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।