কুতুবপুরের মূর্তিমান আতঙ্ক ভূমিদস্যু নজু মাদবর
সাইমুন ইসলাম
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:০০ এএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
ফতুল্লা থানা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর ওরফে নজু মাদবর ফতুল্লা বিশেষ করে কুতুবপুরবাসীর জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম হয়ে দাড়িয়েছে। চাঁদাবাজী,মামলা বানিজ্য,জবরদখল,ভূমিদস্যুতাসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা এই বিএনপি নেতা করেনি।
বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন এই নজরুল ইসলাম মাদবর। সূত্র বলছে, এই নজরুল ইসলাম মাদবর বিগত সরকারের শাসনামলে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আতাত করে ব্যাবসা বাণিজ্যে মনোযোগী ছিলেন।তার জালকুড়িস্থ অফিসে বিভিন্ন জায়গা জমির নথিতে পরিপূর্ন।বিগত দেড় দশক ধরে ঐ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধীদের সাথে সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ভেজাল জায়গা জমি দখল, জোরপূর্বক নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করা, জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করা সহ সমজাতীয় অপরাধে জর্জরীত ছিলেন এই নজু মাদবর।
তবে সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকা এ মাদবর ভোল পাল্টে নিজেকে বিএনপির ত্যাগী নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করে এলাকায় নানাবিধ অপকর্মে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান।
তথ্য বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলার ভয় দেখিয়ে গণহারে চাঁদাবাজী করেছেন আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছ থেকে।এছাড়াও ভেজাল জায়গা দখল করে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এই নজু মাদবর। আওয়ামীলীগের নেতাদের সকল ধরনরে অপরাধ সাম্্রাজ্য এখন এই নজরুল মাদবরের নিয়ন্ত্রণে।
এছাড়াও ২০২০ সালে ভেজাল জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে আব্দুল্লাহ নামক এক যুবকের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেন এই নজরুল মাদবর।পরে জমি কিনে না নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন এই মাদবর।ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তখন নজরুল ইসলাম মাদবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও হয়েছিলো।
এই অপরাধী মাদবরের সম্পর্কে এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগের শাসনামলে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আঁতাত করে আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন।এবার আওয়ামীলীগ পলায়নের পর নিজেই অপরাধ সাম্্রাজ্যের প্রভু হিসেবে আবির্ভূত হয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।
এলাকাবাসী আরোও জানান, এই নজরুল ইসলাম মাদবর এলাকার কিশোরগ্যাং গ্রুপকে শেল্টার দিয়ে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজে লাগিয়ে তার অনৈতিক কাজ সম্পন্ন করেন।
তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে জানান স্থানীয়রা।এই অপরাধীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়ার আহবান জানান এলাকাবাসী।