পাল্টাচ্ছে আড়াইহাজার-জাঙ্গালিয়া সড়ক, জনমনে স্বস্তি
আড়াইহাজার প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার
দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাল্টাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার টু জাঙ্গালিয়া সড়কের ১৪ কি. মি. রাস্তার রূপ। পর পর ৩টি টেন্ডার বাতিল হয়ার পর চতুর্থ টেন্ডারে ঠিকাদার জাকির হোসেনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আওতায় শেষ পর্যন্ত সড়কের পাকাকরণ ( সংস্কার) কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে। মঙ্গলবার ( ৩ ডিসেম্বর ) পর্যন্ত ১৪ কি. মি. সড়কের প্রায় ৪ কি. মি. নতুন করে পাকা ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজটি দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
আড়াইহাজার টু জাঙ্গালিয়া সড়কের যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে। এ ব্যাপারে দৈকি যায়যায় দিন ও বিজনেস টাইম সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বেশ কয়েকটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। কিন্তু তিন দফায় কাজ ধরে ১৪ বছরেও শেষ করতে পারেনি সড়ক সংস্কারের কাজটি।
সামপ্রতিক সময় পর্যন্ত শিবপুর ব্রিজ থেকে আড়াইহাজার থানার মোড় পর্যন্ত রাস্তার করুণ দশা বিরাজ করছিল। ফলে এ সড়কে অহরহ ঘটে আসছিল দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহ থেকে শিবপুর ব্রিজ হতে জাঙ্গালিয়া মুখি সড়কের পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নৈকাহন ও কলাগাছিয়ার মাঝামাঝি অবস্থান পর্যন্ত কাজ চলছে।
এমনিতেই রাস্তা ভাঙাচুড়া, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক গর্ত ছিল। তার উপর রাস্তার দুপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ নির্মাণাধীন থাকার কারণে যাত্রীদেরকে পোহাতে হচ্ছিল চরম বিড়ম্বনা। আড়াই হাজার ও সোনারগাঁও উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক এ সড়ক দিয়ে আড়াই হাজার উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করতে না পারায় তাদের দুঃখ লাঘব হচ্ছিল না। অবশেষে এলাকাবাসির স্বপ্নের সড়কে নতুন রূপে ফিরে আসছে। তাই এলাকাবাসি দীর্ঘদিন পর হলেও স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলছে।
এ ব্যাপারে কাজটির ঠিকাদার জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান সড়কের শিবপুর ব্রিজ থেকে নৈকাহন পর্যন্ত পাকাকরণ হয়েছে। বাকী কাজ খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা হচ্ছে। কাজটি শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে জাকির এন্টারপ্রাইজ ১৬ কোটি টাকা টেন্ডারের উপর কজিটি সম্পন্ন করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত কাজের তদারকি করছেন। টেন্ডার অনুযায়ি কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে এক মাস থেকে এক মাস দশ দিন সময় লাগতে পারে। এন. হুসেইন রনী /জেসি