দীর্ঘদিন পর না.গঞ্জ ক্লাবে ভোটের পরিবেশ : জুয়েল
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ও বাংলাদেশ রি রোলিং মিলস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রশিদ জুয়েল বলেছেন, আমি ২০১২ সনে এই ক্লাবের নির্বাচনে ডিরেক্টর পদে নির্বাচন করে নারী-পুরুষ সকল ভোটারদের আস্থা অর্জন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দক্ষতা এবং স্ব্চ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করি। তখন হাড্ডা হাড্ডি লড়াই করে ক্লাব সদস্যদের ভোটে আমি নির্বাচিত হই। কিন্তু এর পরবর্তি সময়ে এমি আর নির্বাচনে না দাড়ানোর অন্যতম কারন হিসেবে আমি মনে করি, এখানে স্বাধীন চিন্তা চেতনা মুক্ত পরিবেশ ছিল না। দীর্ঘ দিন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নবীন প্রবীন, নারী পুরুষ সদস্যরা স্বাধীন ভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে নাই। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে দীর্ঘ দিন পরে ক্লাবের সকল সদস্যরা নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবে। সেই সাথে তাদের মতপ্রকাশের জায়গাটা ফিরে পেতে যাচ্ছে। আর এজন্য তারা তাদের পছন্দের মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নারী-পুরুষ সহ নবীন প্রবীনের পছন্দের জায়গায় আমি আছি বলে বিশ্বাস করি। তাছাড়া স্বাধীন ভাবে কাজ করার এখন পরিবেশ তৈরী হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রচারনায় গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
সভাপতি প্রার্থী জুয়েল বলেন, ২০২৪ সনের ২১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করার পিছনে আমি যাদের কারনে বেশি অনপ্রানিত হয়েছি তারা হলেন একঝাক তরুন সিনিয়র নারী-পুরুষ সদস্যদের আগ্রহে এখানে প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহন করেছি। আমরা চেয়েছি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব যেন স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়। এলিট শ্রেনীর ঐতিহ্যবাহিী নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ১৩০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য বহন করে। এখানে যখন সর্বর্দাই নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন হয় তখন ক্লাবের সম্মানিত সদস্যরা তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করতে পারে। সেই সাথে নির্বাচনে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করে সম্মানিত বোধ করে। কেননা ক্লাবের সদস্যরা নিজের ইচ্ছার বহির প্রকাশ ঘটাতে পারে নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। বিগত দিনে এখানে বাকস্বাধীনতাতো বটেই এমনকি ক্লাব মেম্বারদের পুর্ণ স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। ক্লাবের সদস্যরা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার পরিচালনা করার দায়িত্ব দিবে এমনটা হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু এতো দিন তা ছিল না। পিছনের সিস্টেমকে বাহিরে রেখে আমরা নতুন করে নির্বাচন মুখি হয়েছি। আমরাও গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় সম্মানিত মেম্বারদের অটুট রাখতে চাই। সেই সাথে এই নির্বাচনে ক্লাবের সদস্যরা স্বাধীন ভাবে ভোট প্রয়োগ করে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তি নির্বাচিত করতে পারবে। তবে আমাকে সুযোগ করে দেয়া হলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবো। পিছনের কোন অন্যায় থাকবে না। আমি চাই আমাদের সম্মানিত ভোটারদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক।
তিনি বলেন, আমি যদি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যদের থেকে ভরসা কিংবা সারা না পেতাম তাহলে নির্বাচনেই আসতাম না। আমি নির্বাচনের জয়ের বেপারে শতভাগ আশাবাদি। যেহেতু ক্লাবের নারী-পুরুষ এবং তরুন ভোটাররা আমাকে সাহস যোগানোর পাশা পাশি সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাই আমি জয়ের বেপারে আশাবাদি। সেই সাথে ক্লাবের ভোটাররা আমাকে সাপোর্ট করছে। তারা আমাকে ১নং ব্যালটে সভাপতি পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাদের ভরসা নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই। তাছাড়া আমি যদি নির্বাচিত হই আমার এই প্রান প্রিয় ক্লাবের যে অংশ এখনো পুনর্গঠন হয় নাই সে গুলো সম্পুর্ণ করা আমার দায়িত্ব। নতুন ভবনের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করাই হবে আমার প্রদান কাজ। এছাড়া কমিউনিটি সেন্টারকে দের মাসের মাঝে কার্যক্রম চালানোর উপযোগি করে গড়ে তোলা, ক্লাবের সেবার মান, খাদ্যের মান বৃদ্ধি করার দিকে মনোযোগি হবো আমি।
ক্লাবের পুর্নগঠন নিয়ে জুয়েল বলেন, ক্লাবের সার্কেল পুর্নগঠন করা হয়েছে তার নিজস্ব অর্থায়নে,সুইমিংপুল তার নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে,জীম পুর্নগঠন হয়েছে যারা জীম করে তাদের নিজস্ব অর্থায়নে। এখানে ক্লাব কোন প্রোভাইড করে নাই। এছাড়া ক্লাবের নামাজের স্থান পুর্নগঠন হয়েছে ক্লাবের সদস্যদের অনুদানের টাকায়। প্রতিটি জায়গায় আমি বিশাল এমাউন্টের একটা অর্থ দিয়েছি। অর্থাৎ ক্লাবকে পুর্নগঠন করতে গিয়ে ক্লাবের সকল মেম্বাররা বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে এসে সহযোগিতা করেছে। এখানে কারো একক প্রচেষ্টায় পুর্নগঠন হয় নাই। আমাকে যদি এখানকার দায়িত্বে আনা হয় পিছনের সকল অনিয়মকে জবাব দিহিতার আওতায় আনা হবে। সেই সাথে অসম্পূর্ণ কাজ গুলো শেষ করার জন্য আমি কমিটেড।
৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে ধ্বংসস্তুপে পরিনত ক্লাবকে সংস্কার বা পুর্নগঠনের জন্য নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সকল সদস্যদের সহযোগিতা রয়েছে। কারো একক প্রচেষ্টায় আজকে ক্লাব ঘুরে দাড়ায় নাই। ৫ আগষ্টের পরে অন্তবর্তিকালিন যে কমিটি হয়েছে সেখানে আমি ডিরেক্টর পদে আছি। কেউ যদি বলে থাকে কারো একক প্রচেষ্টায় ক্লাব পুর্নগঠন হয়েছে তা সম্পুর্ন অসত্য কথা। কেননা একক ব্যক্তির ধারা এই ক্লাব পুর্নগঠন হয় নাই। ক্লাবকে পুর্নগঠন বা সংস্কার করে আগের জায়গায় ফিরে নেয়ার জন্য যারা কাজ করেছে তারা হলেন,বর্তমান কমিটির নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি কাশেম জামান,মাহমুদ এবং আমি সহ বাকি ৮ জনের দীর্ঘ ১ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এছাড়া আমাদের ১১ জন সহ ক্লাব প্রেমি অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় ও একান্ত প্রচেষ্টায় বড় ধরনের অনুদানের অর্থের মাধ্যমে ক্লাবকে পুর্নগঠন করে সাজানো হয়েছে। সকলের সহযোগিতা না থাকলে এত তাড়াতাড়ি ঘুরে দাড়ানো সহজ হত না। তাই আমি ক্লাবের সম্মানিত নারী এবং পুরুষ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞাগতা প্রকাশ করছি। তাছাড়া আমি বড় ধরনের অনুদানের পাশা পাশি ক্লাবের অন্যন্যা জায়গা পুর্নগঠন করতে গিয়ে আমার ইচ্ছাতে অর্থ ব্যয় করেছি। প্রিয় ক্লাবকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো এটা আমার প্রত্যয় ছিল। আগামীতেও ক্লাবের প্রয়োজনে অনুদান করবো তাতে কোন পিছপা হবো না।