রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘মাথা চলে গেছে কিন্তু লেজ রয়ে গেছে’

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্নস্থানে ৩১ দফায় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বারবারই বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে রেখে সর্তক করে আসছেন। এ ছাড়া ও তিনি বারবারই বলে আসছেন যে, স্বৈরাচার পালিয়েছে, স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, কিছু কিছু ছোটমাথা পালিয়েছে, কিন্তু শরীরের লেজ অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির ভেতরও এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই সবাকে অ্যালার্ট থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির দলীয় নেতকার্মী অনেকেই সেই এজেন্টদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে তাদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।


এদিকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জে যে ব্যবসায়ীরা ওসমান পরিবারের ‘অপকর্ম, দুর্নীতিতে সহযোগিতা করতেন’ এছাড়া প্রকাশ্যে ওসমানদের পক্ষ হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়েছেন এদের মধ্যে অনেকে এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল হয়ে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাদের মাধ্যমে স্বৈরাচার ওসমান পরিবার বিভিন্ন কায়দায় এখনো বেনিফিটেড হয়ে যাচ্ছেন। যার মধ্যে অন্যতম রয়েছেন বিকেএমই‘এ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও বিকেএমই‘এ এর সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল। এ ছাড়া ক ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে বিকেএমইএ, ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, হোসেয়ারি এসোসিয়েশন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, জুট এসোসিয়েশসহ প্রায় শতের কাছাকাছি ব্যবসায়িক সংগঠন রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরের বেশি অধিক এই ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোতে ওসমান পরিবারের কালো থাবা পড়েছে।  

বেশিরভাগ সংগঠনেরই নির্বাচন ছাড়াই ওসমানদের নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিদের হাতে নেতৃত্ব ছিল। তাদের নিয়ন্ত্রিত নেতৃত্বে নানা উৎসব-উপলক্ষ্য, কারণ ছাড়াই ব্যাপক চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে কোন আওয়াজ করারও সাহস পায়নি কেউ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ওসমান সাম্রাজ্যের কর্তা ব্যক্তি শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমানসহ পরিবারের সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের অন্যতম সহযোগি হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়িক সেক্টর নিয়ন্ত্রণের হর্তাকর্তা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল। মূলত সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান প্রশাসনিক নানা তদবির, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে কারা আসবেন সেটি নির্ধারণ করতেন এই কাজল। কাজলের ঈশারায় বহু ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ ছাড়া হয়েছেন, আবার কেউ কেউ কোন ব্যবসা ছাড়াই বিভিন্ন সংগঠনের কর্তাব্যক্তি বনে গেছেন। ওসমানদের সাথে পালিয়েছেন খালেদ হায়দার খান কাজলসহ বেশ কয়েকজন ওসমানদের চাটুকার। তবে ওসমানদের সাথে গত ১৬ বছর যারা আষ্টেপিষ্টে ছিলেন তারা ওসমানদের দখলে থাকা নেতৃত্বের ওদল-বদল করেই দায় সারছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ীদের মাঝে একদিকে ক্ষোভ আবার অন্যদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, ২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএমইএর সভাপতির পদে ছিলেন সেলিম ওসমান। সর্বশেষ ২০১২ সালে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হন তিনি। তারপর ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে সমঝোতার মাধ্যমে পর্ষদ করে সভাপতি হন সেলিম ওসমান। কিছুদিন আগে বিলুপ্ত জাতীয় সংসদে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সদস্য ছিলেন।  তাঁর ভাই শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। বিকেএমইএতে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের কারণে টানা পাঁচবার সমঝোতার মাধ্যমে পর্ষদ গঠন করা হলেও সংগঠনের উদ্যোক্তারা চুপচাপ ছিলেন। তাদের সেসব পর্ষদের কারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কারা শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতেন। ইয়ার্ন মার্চেন্টে কারা জুয়ার আসর বসিয়েছেন। খালেদ হায়দার খান কাজল  কাদেরকে বিনা নির্বাচনে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব ওসমানদের কথায় তুলে দিতেন। এখন তারাই আবারো নির্বাচন ছাড়াই ওসমানদের ঘনিষ্ঠজনদের মাঝেই নেতৃত্ব অদল-বদল করছেন। যাকে ঘিরে সেই তারেক রহমানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা চলে মাথা পালিয়ে গেলে ও লেজ রয়ে গেছে।


এদিকে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই ক্লাব থেকে শূট্যারদের অস্ত্র বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। মাত্র ৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনো প্রায়ত ১৫০টি অস্ত্র বাইরে সেসব লোকের কাছে আছে বলে জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অথচ কাজলের ঘনিষ্ঠরাই এখন তার ঈশারায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়িক সেক্টরগুলোর নেতৃত্ব নেয়ার কৌশল অবলম্বন করছে।


এদিকে ওসমানদের দোসর হিসেবে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সেলিম ওসমানের পদত্যাগপত্রের প্রেসক্রিপশনে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ'র সভাপতি পদ দখল করেন ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেম। ওসমানদের ছত্রছায়ায় মোহাম্মদ হাতেম বিসিক এলাকার বহু ব্যবসায়ীকে ব্যবসা ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। একদিকে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আরেকদিকে জমি ব্যবসায় রমরমা সিন্ডিকেট গড়ে তোলে হাতেম। ওসমান পরিবারের প্রত্যক্ষ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন হাতেম। এদিকে সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান এবং অয়ন ওসমানের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীকে ঝুট বিতরণ করতেন, অপরদিকে আজমেরী ওসমানের সাথে সখ্যতা রেখে তার ক্যাডারবাহিনীর মাধ্যমেও ফ্যাক্টরির ঝুট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তবে শুধু ঝুট নয়, বিসিক এলাকায় বিচার- শালিশের নামে ব্যবসায়ীদের উপর নানা অত্যাচারের কথা এখন সেখানকার মানুষের মুখে মুখে। শুধু তাই নয়, হাতেমের কথার নড়চড় হলেই ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচারের খড়া নেমে আসতো। বিসিক, কাশিপুর, এনায়েতনগর এলাকায় বিশাল ভূমিদস্যুদের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে ওসমানরা। এর প্রধান নিয়ন্ত্রক ও ছিলো এই ঝুট ব্যবসায়ী হাতেম। কিন্তু বর্তমানে ও এই হাতেম দেদারসে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের হাত করে সেই বিগত দিনের মতোই রাজত্ব শুরু করেছেন। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দ্বারা বিএনপি নেতাদের নির্যাতনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে যথাযথ পদক্ষেপসহ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমানে তিনি ঝুট বণ্টন করে বিসিক এলাকায় (ঝুট বাবা) হিসেবে আখ্যা নিয়েছেন। এদেখে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, ওসমানদের প্রেতাত্মারাই ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে নেওয়ার নানা কৌশর করছে। কোন নির্বাচন কিংবা ব্যবসায়ীদের মতামত না নিয়েই তারা লোকদেখানো পরিবর্তন বুঝানোর চেষ্টা করছে।


এদিকে ওসমানদের অন্যতম দোসর বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেলের যিনি খালেদ হায়দার খান কাজলের মতোই ওসমানদের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন গত ১৫ বছর ধরে। নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি, আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ওসমানদের কথা মতো প্রভাবিত করা, বিভিন্ন নির্বাচনে কাজলের মতোই সেলিম ওসমানের টাকা পৌঁছানো। বার ভবনের নাম পরিবর্তনে প্ররোচনা দেয়াসহ অনেক কর্মকাণ্ডে ছিলেন প্রকাশ্য। সেলিম ওসমানের হয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উঠানোর দায়িত্ব ছিলো তাঁর উপর জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ডাটা কালেকশন থেকে শুরু করে চাপ প্রয়োগ করা সব ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। তিনি তার আর-এস গ্রুপের মধ্যে অফিস বানিয়ে সেখান থেকে বিসিক নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা কালেশন করে সেই টাকা ৫ স্টার, ৬ স্টার ফার্মের নামে টাকা রেখে ব্লাক টাকা হোয়াইট করে সেই টাকার ভাগ সেলিম ওসমানের পকেটে, হাতেমের পকেটে, র্মোশেদ সারোয়ার সোহলের পকেটেসহ গোটা ওসমান পরিবারের পকেটে জাওয়ার পর বাকিটা বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় দান করে নিজেদের দানবীর হিসেবে আখ্যা দিতেন। তিনি ও বর্তমানে বহাল তবিয়তে রয়েছে হাতেমের মতোই। ওসমানরা ভেগে গেলেও বর্তমাদে তাঁদের প্রেআত্মারা বা লেজেরা রঙ বদলাচ্ছে। তারাই আবার ব্যবসায়ী ও উদ্যেক্তাদের জিম্মি করে আগের মতোই তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ীরা।


বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে একচেটিয়া ভাবে ওসমান পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শুধু এলিট শ্রেণির এই ক্লাব নয়, নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রে ওসমান পরিবার মাফিয়াদের মত করে সকল সেক্টর দখল করে সেখানে নিজেদের রাজত্ব চালিয়েছে। যেখানে তারা নিজেরা বসতে পারে নাই সেখানে ওসমান সম্রাজ্যের একান্ত অনুগত সদস্যকে বসিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়ে করেছে। ওসমান পরিবারের অবৈধ আয়ের অন্যতম সেক্টর ছিল ঐতিহ্যবাহিী নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। ক্ষমতাচ্যুত সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এই ক্লাবের সভাপতি পদ দখল করে রেখে ছিলেন শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু। টিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মাদককারবাড়ি থেকে শুরু করে সকল ধরণের অপরাধ জগত এখানে বসিয়ে চালিয়েছে। ওসমানীয় সাম্রাজের‌্য বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান নাই। এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে কোটি কোটি টাকার লোপাটের অভিযোগ রয়েছে এই টিটুর বিরুদ্ধে।


এদিকে ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়শনে ওসমানদের ক্ষমতায় হেন অপকর্ম বাকি নেই লিটন সাহার। কথায় কথায় চাঁদাবাজিসহ অবৈধভাবে বন্ড সুতার বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বারোটা বাজিয়ে রেখেছিলেন তিনি। লিটন সাহার শেল্টারে টানবাজারের এলসির মাধ্যমে সুতার কালোবাজারী ব্যবসা পরিচালনা করতেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে টানবাজারের সুতা বাজারকে কুলশিত করেছেন এই লিটন সাহা। তবে গত ৫ আগষ্টের পরে পুরো ওসমান পরিবার কিংবা ওসমান সম্রাজ্যের সন্ত্রাসী খ্যাত অপরাধীরা পালিয়ে গেলেও নানা জায়গায় তাদের প্রেতাত্মা এখনো রয়ে গেছে। তাদের মাধ্যমে গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমান সহ তাদের সাম্রাজ্যের বিভিন্ন সেক্টর ধরে রাখার জন্য তারা আড়ালে থেকে এখনো বিভিন্ন সংগঠনে খবরদারি চালাচ্ছেন। সেই সাথে তাদের লোক বসিয়ে নিজেদের ভাগের টাকা পর্যন্ত নিতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে কঠোরভাবে সচেতন হতে হভে বিএনপিসহ গত ১৭ বছর আন্দোলনে থাকা দলগুলোর।


এদিকে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে এক কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপিকে মানুষ পছন্দ করে এটা অনেকের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আপনারা খেয়াল করে দেখুন, যারা এ দলের সঙ্গে বহু বছর ধরে জড়িত। শহীদ জিয়ার আমল থেকে যুক্ত রয়েছেন। দেখে আসছেন ৮১ সালের আগে থেকে কীভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে। ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। এই দলের বিরুদ্ধে যখন ষড়যন্ত্র হবে তখন ধরে নিতে হবে ষড়যন্ত্র শুধু দলের বিরুদ্ধেই না সেটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। থেমে যায়নি। স্বৈরাচার পালিয়েছে, স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, কিছু কিছু ছোটমাথা পালিয়েছে, কিন্তু শরীরের লেজ অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির ভেতরও এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই সবাকে অ্যালার্ট থাকতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি করে তারেক রহমান বলেন, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য যদি দলীয় কোনো ব্যক্তি চেষ্টা করে, তাহলে তাকে শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে। যারা নিজের লাভের জন্য দলের বদনাম করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্তহাতে ব্যবস্থা নেওয়া লাগবে। এটা আমার নির্দেশনা।