Logo
Logo
×

জনদুর্ভোগ

শোকে কাতর গোটা শহর

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

শোকে কাতর গোটা শহর

ফাইল ছবি

# খেজুরের রস খেতে গিয়ে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫


খেজুরের রস খেতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরিদপুর গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার ভূঁইয়া পরিবারের সদস্যরা। ভোরে ব্যক্তিগত দু’টো গাড়িতে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ১০ জনের একটি দল। পদ্মা পেরিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে খেজুরের রসও খেয়েছিলেন। পরে ফেরার পথে একটা গাড়ি সামনে এগিয়ে গেলেও পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের গেরদা এলাকায় মাইক্রোবাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান তাদের পাঁচজন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের মুন্সিবাজার রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।



নিহতরা হলেন- ভূঁইয়াবাড়ির মাসুম শরীফ ভূঁইয়ার মেয়ে সাজিয়া সাজু (৪৫), মাসুমের ছোটভাই হাসান ভূঁইয়ার মেয়ে ফাহমিদা শারমিন মুন (৪০), মুনের স্বামী মামুন চৌধুরী লিটন (৫০), মাসুমের আরেক ভাই হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে সাঈদের স্ত্রী আতিফা রহমান ভূঁইয়া (৩৬) এবং তাদের আরেক আত্মীয় উম্মে তাসনুমা রিন্তু (৩০)।



রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স করে এলাকায় আসে মরদেহগুলো। ভেতর থেকে বের করা হয় মরদেহ। গত কয়েক ঘন্টা যাবৎ মরদেহগুলোর অপেক্ষায় ছিলেন ভূঁইয়াবাড়ির লোকজন। দুর্ঘটনার পর থেকেই এ বাড়িতে শোকাবহ পরিবেশ। এলাকাবাসীর মধ্যেও শোক ছড়িয়ে পড়েছে।



ভাই হারানোর শোকে কাঁদছিলেন নিহত মামুনের ছোটভাই সেলিম চৌধুরী। সাথে থাকা সেলিমের বন্ধু শামীম জানান, ভোরে ব্যক্তিগত দু’টো গাড়িতে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ১০ জন। পদ্মা পেরিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে খেজুরের রসও খেয়েছিলেন। পরে ফেরার পথে একটা গাড়ি সামনে এগিয়ে গেলেও পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। মামুন নারায়ণগঞ্জের ফোর নিটওয়্যার লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী। তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা মাবিন চৌধুরী তাজরীনও (১৩) এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান স্বজনরা।



জানা যায়, সেই মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট আটজন যাত্রী ছিলো। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে পাঁচ জন নিহত হন এবং বাকি তিন জন সহ একজন দোকানদার আহত হন। নিহতরা হলেন- ভূঁইয়াবাড়ির মাসুম শরীফ ভূঁইয়ার মেয়ে সাজিয়া সাজু (৪৫), মাসুমের ছোটভাই হাসান ভূঁইয়ার মেয়ে ফাহমিদা শারমিন মুন (৪০), মুনের স্বামী মামুন চৌধুরী লিটন (৫০), মাসুমের আরেক ভাই হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে সাঈদের স্ত্রী আতিফা রহমান ভূঁইয়া (৩৬) এবং তাদের আরেক আত্মীয় উম্মে তাসনুমা রিন্তু (৩০)। এছাড়াও একই মাইক্রোবাসে তাজরিন, অরিন ও চালক নাজমুল হাসান সহ তিন জন আহত হন এবং জিন্না (৫২) নামে স্থানীয় একজন দোকানদার আহত হন।



এবিষয়ে স্বজনরা জানা যায়, খেজুরের রস খেতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরিদপুর গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার ভূঁইয়া পরিবারের সদস্যরা। ভোরে ব্যক্তিগত দু’টো গাড়িতে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ১০ জনের একটি দল। পদ্মা পেরিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে খেজুরের রসও খেয়েছিলেন। পরে ফেরার পথে একটা গাড়ি সামনে এগিয়ে গেলেও পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স করে ভূইঁয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আনা হয় নিহতদের মরদেহ। একেক করে ভেতর থেকে বের করা হয় তিনটি মরদেহ। এসময় এলাকাজুড়ে নেমে আসেন শোকের ছায়া। ভাই হারানোর শোকে কাঁদছিলেন নিহত মামুনের ছোটভাই সেলিম চৌধুরী। সাথে থাকা সেলিমের বন্ধু শামীম জানান, ভোরে ব্যক্তিগত দু’টো গাড়িতে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ১০ জন। পদ্মা পেরিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে খেজুরের রসও খেয়েছিলেন। পরে ফেরার পথে একটা গাড়ি সামনে এগিয়ে গেলেও পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। মামুন আরো জানান, তার নবম শ্রেনী পড়ুয়া মাবিন চৌধুরী তাজরীনও (১৩) এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।



এবিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাজরিন জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাত্রী দেখতে ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়ায় যাচ্ছিলাম। পথে সেখানে খেজুরের রস খাই। পরে ফরিদপুরের যাওয়ার পথে ট্রেনের সাথে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। মাইক্রোবাস চালকসহ আটজন গাড়িতে ছিলাম।



প্রত্যক্ষদর্শীরা  জানান, একটি বড় হায়েস মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন যাত্রী রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ফরিদপুর থেকে ঢাকামুখী মধুমতি এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয় এবং আহত দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে আরো দুজনের মৃত্যু হয়।



এবিষয়ে ফরিদপুরের স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের ওই রেল ক্রসিং এ কোন গেটম্যান নেই। রেলক্রসিং না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।



ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাকি বিল্লাহ বলেন, পাঁচজন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে এটা কোতোয়ালী থানার আওতায় থাকায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।



ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন