ডাক্তারের দেখা নেই, অপেক্ষায় রোগীরা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
টিকেট কেটে সকাল থেকে ডাক্তারের অপেক্ষায় রোগীরা
টিকেট কেটে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে সকাল থেকে ডাক্তারের অপেক্ষায় রোগীরা। লাইন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। দেখা যায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে কেউ কেউ অসুস্থতা সারাতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পরেছে। এটি নতুন চিত্র নয়, প্রতিদিন এভাবেই অপেক্ষা করতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ (ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষজনকে। সকাল পেরিয়ে বেলা ১১ টা বেজে যায় তবুও চেম্বারে দেখা মেলেনা চিকিৎসকের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশে রয়েছে কনসালটেন্ট সার্জারি ও চর্ম বিশেষজ্ঞ কক্ষ। রোগীরা চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে মেঝেতে বসে পরছেন। যেখানে হাসপাতালটিতে অফিস কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে, সেখানে বেশিরভাগ চিকিৎসকরাই এ নিয়ম মেনে চলেন না। হাসপাতালটির নিচ তলায় বহির্বিভাগ কক্ষের সামনে সেই একই অবস্থা। গড়ে প্রায় হাজার রোগী হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন।
সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা আসমা খাতুন নামে এক নারী বলেন, সকাল সারে ৯টার দিকে কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়ে এখানে সিরিয়ালে দাড়িয়ে আছি, এখন ১১ টার কাছাকাছি বেজে গেছে। বাড়ির সামনে হসপিটাল তাই এখানেই আসি সবসময়। সরকারী হসপিটাল তাই টাকাও কম লাগে। বাইরের ডাক্তার দেখানোর জন্য তো এখানে আসিনা। তাই আর কি করবো এখানে দড়িয়ে ডাক্তার এর জন্য অপেক্ষা করছি। রহমান নামে এক বৃদ্ধ রোগী বলেন,ডাক্তার এখনো আসে নাই, আর কতোক্ষন দাড়িয়ে থাকবো ,তাই বাইরে সিট খালি না পেয়ে মেজেতে বসে আছি । অসুস্থতা নিয়ে এতো দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকা যায় নাকি। প্রায় আধা ঘন্টার উপর সিরিয়ালে আছি। গরিব মানুষ অন্য কোথাও চিকিৎসা করার মতো তেমন সামর্থ্য নাই, তাই অপেক্ষা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ (ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা.জহির জানান, ময়নাতদন্ত ও ভিকটিম যেগুলো আছে,এ গুলোর উপর আমাদের কিছু কাজ করা লাগে। আর সার্জারির যে ডাক্তার গুলো আছে তাদের যখন ওটি থাকে তখন তারা অপারেশন থিয়েটারে থাকে। আরো যেসব যায়গায় আমাদের লাগে আমাদের কাজ করতে হবে। দেখা যায় সেবা দেওয়ার কাজ তো আর শেষ নেই , এ বিষয়টি জানা হলো এটা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।