নাসিকের কচ্ছপগতির কাজে ভোগান্তিতে নগরবাসী
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
শহরের ড্রেন ব্যবস্থাকে সংস্কার করে তা বড় পরিসরে ড্রেন নির্মাণ করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পড়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ হওয়ার পর শহরের ড্রেন ব্যবস্থাকে সংস্কার করে তা বড় পরিসরে ড্রেন নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। বৃষ্টির আসার আগে কাজ সমাপ্ত করতে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে তারা। তবে নির্মাণ কাজে ধীরগতিসহ বেশ কয়েকটি কারণে এর জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। এর আগে প্রতি বছর বৃষ্টিতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। আর এতে কের ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসি।
সরেজমিনে শহর ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের কালিরবাজার থেকে ফুটপাতে ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। একই সাথে জিমখানা মোড় থেকে ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এরমধ্যে বিবি রোডের নিতাইগঞ্জ ও মন্ডলপাড়া এলাকায় রাস্তার দুই পাশে ড্রেনের জন্য মাটি খুড়ে সড়কে তুলে রাখা হয়েছে। যার ফলে সড়ক বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সড়কের দুই লেনই তাদের মালামাল দিয়ে রাস্তা দখলে রাখেন। এছাড়া ড্রেনের মাটি রাস্তায় পড়ে থাকে। এতে করে শহরের যানজট আগের থেকে আরও দিগুন আকারে বেরে গেছে। নাসিকের ড্রেনেজ সংস্কারে ধীর গতির কারনে শহরের যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগর বাসিকে।
নিতাইগঞ্জ এলাকার একাধিক চালের ব্যবসায়ী বলেন, সিটি করপোরেশনের ড্রেন সংস্কারের কাজ ধীর গতি হওয়া আমাদের দোকানের সামনে ফুটপাত গুলো এলোপাথাড়ি হয়ে রয়েছে। আর এতে করে ক্রেতাদের বেচাঁ কেনায় ননা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। তাই প্রশাসক সাহেবের প্রতি অনুরোধ তিনি যেন এই ড্রেনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সহযোগীতা করুন। নয়তো একটি শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করতে বলুন আপনার ঠিকাদারদের। এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। বর্ষার আগে কাজ শেষ করা না গেলে আমাদের কঠিন বিপদে পরতে হবে।
অভিযোগ করে ফয়েজ নামে মন্ডলপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, মাটিগুলো তুলে অনেক দিন ধরে এভাবে রাখা হয়েছে। এর আগে ডিআইটি এলাকায় একই কাজ করা হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট ছোট। তাই কাজ করার আগে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের পরিকল্পনা করেই তা সম্পন্ন করা দরকার। এভাবে অপরিকল্পিত কাজ হলে আমাদের ভোগান্তিতে চলতে হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলায় ব্যবসা বাণিজ্য ও চলাফেরায় অনেক সমস্যা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।