ধীরগতিতে চলছে না.গঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ

আরিফ হোসেন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

ধীরগতিতে চলছে না.গঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ
ছয়মাসেও চালু হয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুড়িয়ে দেয়া নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এখনও এই কার্যালয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়ন ও নতুন পাসপোর্ট করতে আগ্রহী গ্রাহকরা অন্যান্য সেবা গ্রহীতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া আগুনে আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা । দ্রুত পাসপোর্ট অফিস চালু করার দাবি জেলাবাসীর। তবে সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে হয়েছে মাস খানেক হবে।
জানা গেছে দুই মাস, যাবৎ সংস্কার কাজ চললেও এখনো এই পাসপোর্ট অফিসের আশানুরূপ তেমন কাজ হয়নি এমনকি কবে নাগাদ এই পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ শেষ হবে তারও এখনো জানা যায়নি। নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের সামনে সেবাপ্রত্যাশীদের ভিড়।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাত নয়টার দিকে হামলা চালানো হয় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে চার তলা ভবনটিতে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সার্ভার, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও যাবতীয় নথিপত্রসহ গ্রাহকদের আট হাজার তৈরি পাসপোর্ট। ধংসস্তপে পরিণত হয় সরকারি এই কার্যালয়টি। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় তিন কোটি টাকার সম্পদ। এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পুরো জেলাবাসী। প্রতিদিন সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।
সম্প্রতি রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদীর পাসপোর্ট অফিসে নারায়ণগঞ্জের গ্রাহকদের অঞ্চলভিত্তিক সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হলেও অধিক দূরত্ব ও গ্রাহকদের চাপের কারণে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না এই জেলার গ্রাহকরা ।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকার নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি। আন্দোলনে পুড়িয়ে দেয়ার আগে প্রতিদিন জেলা সদরসহ সব উপজেলা থেকে কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার গ্রাহক বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে আসতেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে প্রধান ফটকের সামনে দেখা মেলে বেশ কয়েকজনের।
এদের মধ্যে রহিম মিয়া নামে একজন ভূক্তভোগী বলেন, ‘আন্দোলনের আগে আমি পাসপোর্ট করতে দিয়েছিলাম। ডেলিভারির তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখি কোন মানুষজন নেই। কেউ যে একটা তথ্য দেবে এমন একটা মানুষও এখানে নেই। পরে জানতে পারলাম এখানে আগুন দেয়ার দিন আট হাজারের মতো রেডি পাসপোর্ট পুড়ে গেছে। আমার পাসপোর্টও নাকি পুড়েছে।
পরে বিভিন্নভাবে খবর নিয়ে জানতে পারি এই জেলার পাসপোর্ট কেরাণীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী অফিসে করা হচ্ছে। তিন অফিস ঘুরে পরে আমি পাসপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি’। এমনকি দেখলাম সংস্কার কাজ কোনমতে চলছে কবে নাগাদ পাসপোর্ট অফিসের কাজ শেষ হবে কেউ জানেনা। আমরা চাই অতি দ্রুত এই পাসপোর্ট অফিসের কাজ শেষ করা হোক এক জেলা থেকে অন্য জেলার পাসপোর্ট করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমার মতো এরকম অনেকেই আছে পাসপোর্ট অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।