না.গঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হওয়া এখনও অনিশ্চিত

আরিফ হোসেন
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

না.গঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হওয়া এখনও অনিশ্চিত
# গণপূর্ত বিভাগ সংস্কার শেষ না করাতে চালু হতে লাগবে আরও কিছুদিন
# নয় মাস পেরোলেও পাসপোর্ট অফিসটি চালু না হওয়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের
যাবতীয় সংস্কার কাজ শেষ করে গত ১৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হবে এমনটিই নিশ্চিত করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তবে এরপর আরও একমাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না কবে নাগাদ শুরু হবে। এখনো প্রতিনিয়তই নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে শত শত লোকজন দেখতে আসে আবার ঘুরে চলে যায়।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা এখনো পাসপোর্ট অফিসের কাজ শেষ হয়নি। সেখানে কোন কর্মকর্তা দেখা না গেলেও দুই একজন আনসার সদস্যের দেখা মেলে এদের মধ্যে এক আনসার সদস্য জানান, কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে সংস্কার কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তর করছে তাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বুঝিয়ে না দেওয়ার পর্যন্ত পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছেনা। তবে কবে নাগাদ চালু হবে সেটাও সঠিক তারিখ বলতে পারেনি সেই আনসার কর্মকর্তা। তবে এখনো হয়তো আরও আশায় থাকবে হবে যতক্ষন না চালু হচ্ছে।
পাসপোর্ট অফিসে আসা ভূক্তভোগী এক গ্রাহক জানান পাসপোর্ট অফিস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান এইটা চালু করতে এতো সময় লাগা এটা আমাদের জন্য সত্যিই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলা থেকে অন্য জেলায় আমাদের পাসপোর্ট করতে গিয়ে অনেকটাই ভোগান্তি পোঁহাতে হচ্ছে আমরা চাই অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা হোক।
এদিকে পাসপোর্ট তৈরি, নবায়ন ও অন্য সেবার জন্য প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মানুষ সেবা নিতে আসতেন এই কার্যালয়ে। ভবন পুড়ে যাওয়ায় এখানে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে সেবা অব্যাহত রাখতে নারায়ণগঞ্জকে তিন জোনে ভাগ করে পার্শ্ববর্তী তিন জেলার আঞ্চলিক অফিস থেকে সেবা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লার বাসিন্দারা কেরানীগঞ্জ, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারের বাসিন্দারা নরসিংদী এবং বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দাদের মুন্সীগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে অন্য জেলায় গিয়ে সেবাগ্রহণে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। পড়তে হচ্ছে দালাল চক্রের হাতে। ফলে অনেকেই অপেক্ষা করছেন নারায়ণগঞ্জ কার্যালয় চালুর। প্রায়ই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে খোঁজ নিচ্ছেন কবে নাগাদ খুলবে পাসপোর্ট অফিস।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকে ভবনটিতে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।এমনকি পাসপোর্ট অফিসে থাকা গ্রাহকদের প্রায় ৮ হাজার পাসপোর্ট সেই সময় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, চারতলা পাসপোর্ট কার্যালয়ের নিচতলায় বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয় তলায় সার্ভার রুম উপ-পরিচালকের কক্ষ রয়েছে। সেখানে সারি সারি সাজিয়ে রাখা ছিল তৈরি পাসপোর্ট। পুরো চারতলা ভবনের কোনো কিছুই আর বাকি নেই। তৈরি করে রাখা পাঁচ হাজারেরও বেশি পাসপোর্টও পুড়ে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।