রানা-রামু সাহা গ্রেপ্তার হলে পাওয়া যাবে টিটুর দুর্নীতির তথ্য
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দূর্নীতি
# ক্লাবের নতুন সদস্যের ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় রামু
# যারা যে সেক্টরে দুর্নীতি অপকর্ম করেছে তাদের গ্রেপ্তার চাই : এড.টিপু
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে গত কয়েক বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করেন ওসমান দোসররা। আর এই দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর প্রধান মাস্টার মাইন্ড হচ্ছেন শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু। যিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে পর পর একাধিক বার সভাপতি পদে ছিলেন। আর এই সভাপতির পদে থেকেই ক্লাবের ৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তানভীর আহমেদ টিটু। ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শামীম ওসমানের শালা ৭২ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েগেছে এবং একই দিনে ২৭ কোটি টাকার চেক তুলে নিয়ে গেছে।
এমন সংবাদ প্রকাশের পরই নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের একাধিক সদস্য বলছে তানভীর আহমেদ টিটু ক্লাবের অর্থ একা আত্মসাৎ করেনি। তার সাথে ক্লাবের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করেছেন ক্লাবের সাবেক সিনিয়ন সহসভাপতি বিপ্লব সাহা রামু ও সাবেক সহসভাপতি এসএম রানা। তারা দুই জনেই এই দুর্নীতির সকল তথ্য জানেন। এসএম রানা ও রামু সাহাকে গ্রেফতার করলেই তানভীর আহমেদ টিটুর দুর্নীতির সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের একজন সদস্য জানান, গত বার এজিএম’এ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ১৬ লক্ষ টাকা করে ১৫০জন নতুন সদস্য নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আগের সদস্যরা এবিষয়ে আরো টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপত্তি জানালে নতুন সদস্যদের কাছ থেকে আরও ২,৫০,০০০ (আড়াই লক্ষ) টাকা করে নেওয়া হয়। তার মধ্যে নতুন সদস্য ২৮ জন আড়াই লক্ষ টাকা বিপ্লব সাহা রামু’র কাছে জমা দেন। সেই রামু ২৮ জনের ৭০,০০০০০ (সত্তর লক্ষ) টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যান। বর্তমানে ক্লাবের নতুন সদস্যের সেই সত্তর লক্ষ টাকা রামুর কাছে আছে বলেন জানান তিনি।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান এসএম রানা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা থাকলেও প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করছে না। ঢাকায় কয়েকজন বড় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করছে রানা। এছাড়াও তার ভাই ও বন্ধুদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষদের কাছে টাকা পাঠিয়ে আবারও নারায়ণগঞ্জে রাজত্ব করার চেষ্টা চালা”েছন হত্যা মামলার আসামী এস.এম রানা। এবিষয়ে অনেকে জানান, একজন গাড়ি চালকের ছেলে কিভাবে কোটি টাকার মালিক হয়। সামান্য একটি প্রিন্টের কারখানা দিয়ে এতো টাকার মালিক হওয়া যায় না। তাকে আইনের আওতায় আনলেই সকল তথ্য বেড়িয়ে আসবে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, ওসমান ফ্যামিলি ও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনও নারায়ণগঞ্জে আছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা কারো না-কারো মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে বলতে চাই, যারা যে সেক্টরে দুর্নীতি করেছে, যারা অপকর্ম করেছে তাদের বিচার চাই, তাদের গ্রেপ্তার চাই। টিটু, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, মেয়র আইভী এসব বুঝি না, যারা বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামী প্রতিটা লোককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হউক। অন্যথায় এর জন্য নারায়ণগঞ্জে সৃষ্ট উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির জন্যে জেলা পুলিশ সুপার ও ডিসি দায়দায়িত্ব বহন করবে। এসএম রানাসহ যারা দুর্নীতি করেছে আমি নারায়ণগঞ্জের নাগরিক হিসেবে ও একজন রাজনীতি কর্মী হিসেবে তাদের বিচার চাই।