Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

সারজিসকে ৫০ লাখ টাকা ফেরত দিতে বললেন পিনাকী

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

সারজিসকে ৫০ লাখ টাকা ফেরত দিতে বললেন পিনাকী

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সমন্বয়কদের কাছে ৫০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেম।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেপথ্য অন্যতম ভূমিকা রাখা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য বিকেএমইএর সভাপতি ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেমের কাছ থেকে নেয়া ৫০ লাখ টাকা অনুদানের অর্থ ফেরত দিয়ে দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল পিনাকী ভট্টাচার্যের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে ভারত’ শিরোনামে আপলোড করা ভিডিওতে তিনি এই আহবান জানান। পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভিডিওতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারকে সহায়তার জন্য বিকেএমইএর অনুদানের ছবি সংযোজন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কালীন সময় ২২ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণভবনে গিয়ে বিকেএমইএর তৎকালীন নির্বাহী সভাপতি ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের দেয়া বক্তব্য সংযক্ত করে বলেন, আজকের ভিডিওটা খুবই বিরক্তি নিয়ে শুরু করছি। বিকেএমইএ’র হাতেম আলীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার চেক নিচ্ছে সারজিস আর পাশে দাঁড়িয়ে আক্তার। দুইজনেই আমাদের খুবই ভালোবাসার মানুষ। আমাদের অনেক আশা এই তরুণ নেতৃত্বের প্রতি। আমরা মনে করি তারা নতুন বাংলাদেশ গড়বে। এই স্বপ্ন ওরাই জাগাইছে। আক্তার আর সারজিস তোমাদের বলি, এই হাতেম আলীকে চেনো না! যদি বলো চেনো  না, তবে বলবো কার সাথে দেখা করতে যাইতাছো,কার কাছ থেকে অনুদান নিচ্ছো সেটা আগে দেখে নিবা না! এটা দেখে নিতে হবে, দেখে নিবা এরপর থেকে। এটা একটা রিকোয়েস্ট থাকলো। এই লোকের (ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের) আন্দোলনের টাইমে একটা বক্তব্য শুনাই তোমাদের কে, শোনো।  ( বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে থাকা অবস্থায় গত ২২ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার গণভবনে গিয়ে দেয়া বিকেএমইএর তৎসময়ের নির্বাহী সভাপতি ঝুট ব্যবসায়ী হাতেম বলেন) ‘এরকম একটা সংকট কালে আবারো এই ধরণের একটা সিচ্যুয়েশন আমরা কিন্তু কখনোই আশা করিনি, আজকে এই যে তান্ডব আমরা গত কয়েকদিন ধরে দেখেছি, আমরা আশা করবো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ যারা আছেন দায়িত্বে তারা এই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই উদঘাটন করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এরমধ্যে আমরা সরকারের পাশে সবসময়ই ছিলাম, এখনো আছি ইনশাআল্লাহ আপনার পাশে আমরা থাকবো, ব্যবসায়ীক সমাজ সবসময়ই আপনার পাশে।’



পিনাকী ভটাচার্য হাতেমের সেই বক্তব্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ওই হাতে কি রক্তের দাগ লাইগা নাই? ওর ৫০ লাখ ছাড়া কি চলতেছিলো না? টাকাটা ফেরত দাও (সারজিস-আক্তার)। আমারও তো ট্যাকা নাই। তাও আমি একমাসের মধ্যে তোমাদের ৫০ লাখ টাকা তুলে দেবো প্রতিশ্রুতি দিলাম।  ভিক্ষা করবো, ভিক্ষা.. ভিক্ষা..। এরমধ্যে আমার কোন গ্লানি নাই। আমার সন্তানেরা শহীদ হইছে, তাদের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছেনা, এর জন্য হাতেম আলীর কাছে তোমাদের হাত পাততে হচ্ছে, তাহলে না হয় আমি ভিক্ষাই করলাম! কোন একাউন্টে টাকাটা দিয়ে দিতে হবে, জানাইও, আমি দিয়ে দিবো নে।  

২২ জুলাই শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে ঝুট ব্যবসায়ী হাতেম এমন বক্তব্য দিলেও গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্নে নিজের চরিত্র পাল্টে ফেলেন মোহাম্মদ হাতেম।  নিজেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের নেপথ্য সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন এমন কথা জাহির করতে থাকেন। পরবর্তীতে বিষয়টি স্বৈরাচারের দোসর সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ২৫ আগস্ট বিকেএমইএ থেকে পদত্যাগ করলে সেই পদত্যাগপত্রে তাদের দোসর ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেমকে নির্বাহী সভাপতি থেকে বিকেএমইএর সভাপতি করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেন। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীক সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।


বিকেএমইএর পর্ষদ থেকে  (বিকেএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনসুর আহমেদ ও পরিচালক খুরশীদ আহমেদ তানিম পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তারা দুইজনই বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ উল্লেখ করে বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আচরণ এবং অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ তোলেন। সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি বরাবর পদত্যাগ দেন এ দুই নেতা।  তাদের অভিযোগ, ‘বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের নেতৃত্বে সংগঠনের মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে এমন কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে যা আমাদের আমাদের সংগঠনের মূলনীতি- ন্যায়পরায়ণতা, সততা এবং গণতান্ত্রিক চর্চাকে লঙ্ঘন করছে।” গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাতে সংগঠনের এ দুই পরিচালক বলেন, “বর্তমান সভাপতি (মো. হাতেম) এবং কিছু সিনিয়র বোর্ড সদস্যরা ফ্যাসিজমকে সহযোগিতা করেছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও সাধারণ ছাত্র-জনগণের ওপর নির্যাতনকারী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।” তারা আগামী ৫ ডিসেম্বরে ডাকা সংগঠনের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বাতিলের আহ্বান জানান।  তারা আরও বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং আমাদের বিবেকের তাড়নায়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যারা এই ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে, তাদের সঙ্গে আর কাজ করব না।



শুধু তারাই নন, স্বৈরাচারের দোসর হাতেমকে বিকেএমইএর সভাপতি করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি, সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ। তারা স্বৈরাচার ও ওসমান পরিবারের অন্যতম দোসর মোহাম্মদ হাতেমকে অপসারণে জন্য জোরদার দাবি তোলেন। এই অবস্থায় সেলিম ওসমানের পরামর্শে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ৫০ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা দেয় নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। মূলত স্বৈরাচার হাসিনা, ব্যবসায়ী মাফিয়া সেলিম ওসমান এবং গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর মোহাম্মদ হাতেমের নীল নকশাতেই অনুদানের অর্থ সমন্বয়কদের হাতে তুলে দেয়া হয়। মূলত স্বৈরাচারের দোসর হাতেমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমন্বয়কদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা। এজন্য সে তার ছেলেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সাইবার যোদ্ধা দাবি করতে থাকে। নিজে এবং ছেলেকে নিয়ে বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে সামনে ঘুরঘুর করতে থাকে। তার ছেলে হাসিন আর অয়নকে জোরে সোরে সমন্বয়কদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব দেন। নিজেও নেমে পড়েন আটঘাট বেধে। মূল উদ্দেশ্য নিজেদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করা।


গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায়  ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের নেতৃত্বে সমন্বয়ক সারজিসের হাতে ৫০ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা দেয় নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। মূলত এই অর্থ প্রদানের পর থেকে হাতেম বিভিন্ন মহলে প্রচার করতে থাকেন সমন্বয়কদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।  তবে এই চেক গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন মহলে এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। যে দোসরদের হাতে জুলাই-আগস্টে নিহত-আহত ছাত্রজনতার রক্তের দাগ লেগে আছে, সেরকম ব্যক্তির কাছ থেকে  চেক গ্রহণের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি আপামর মানুষ।  পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারাজিস আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিকেএমইএর সভাপতির ( মোহাম্মদ হাতেমের ২২ জুলাই গণভবনে হাসিনার কাছে গিয়ে দেয়া বক্তব্য) যে ভিডিওটা ঘুরছে, এই ভিডিওটা এরআগে আমার চোখে পড়েনি। আমরা উনার কাছ থেকে আহতদের জন্য ফান্ড নিয়েছিলাম এবং উনাদের একজনকে সাথে নিয়ে ওই ফান্ড আহতদেরই দিয়ে এসেছি, সিএমএইচ, পঙ্গু এবং চক্ষুতে। তো যদি ওই মুহুর্ত্বে আগে চোখে পড়তো তাহলে আমরা কখনোই এই ফান্ডটা তখন নিতামনা সে যেই হোক না কেন। ভিডিওটি হোয়াটসঅ্যাপে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।



জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেপথ্য অন্যতম ভূমিকা রাখা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে গতকাল ভিডিও প্রকাশ করলেও ডিসেম্বরে ্যবসায়ীক সংগঠন বিকেএমইএ’র শীর্ষ পদ থেকে ওসমান দোসর হাতেমকে অপসারণের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হন ব্যবসায়ীরা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অন্তবর্তীর্কালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিব বরাবর বিকেএমইএ’র সভাপতি পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন প্রীতম নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জাফর আহমেদ এবং কেএএস নিটওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমগীর কবির।। ওই আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, চিঠিতে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, বিগত ১৪ বছরে সেলিম ওসমান তার অনুগতদের নিয়ে বিকেএমইএর কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, যেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন হয়েছে। তার পদত্যাগের পরও অনুগত পর্ষদ দিয়ে মোহাম্মদ হাতেমকে সভাপতি হিসেবে বসানো হয়েছে, যা সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।



চিঠিতে মোহাম্মদ হাতেমকে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে ব্যবসায়ীরা ‘প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা মনে করেন, হাতেমকে সভাপতি হিসেবে তৈরি করার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে নির্বাহী সভাপতির একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে সেখানে তাকে বসানো হয়। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলের পুরোটাই সেলিম ওসমানের অনুগত থেকে মোহাম্মদ হাতেমও পুরোপুরি ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেন।



তবে রহস্যজনক কারণে অদ্যবধি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এব্যাপারে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইতিপূর্বে বিকেএমইএর যেসকল অনুদান প্রদান করা হয়েছে, সেগুলো সরকার প্রধানের কাছেই দেয়া হয়েছে। এবারই প্রথম বিকেএমইএর অনুদানের অর্থ সরকার প্রধানের তহবিলে না দিয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়কদের হাতে চেকটা তুলে দেন হাতেম।  পিনাকী ভট্টাচার্য হাতেম আলীকে নিয়ে যে ভিডিওটা প্রকাশ করেছেন তা দেশ বিদেশের লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন। যার ফলে স্বৈরাচারের দোসর হাতেমের জুলাই-আগস্টের ভূমিকার বিষয়টি আবারো প্রকাশ্যে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী তিন-চারদিনের মধ্যেই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বৈরাচারের দোসর হাতেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন ব্যবসায়ীরা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন