২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করা, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ, র‌্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন কারচুপির অভিযোগ পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, কমিশনের গঠিত তদন্ত দল সুনির্দিষ্টভাবে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড তদন্ত করবে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুদক। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশী-বিদেশী সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বিভাগ, জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারের সে সময়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র‍্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশের কথা উল্লেখ রয়েছে।