হাসিনার কন্যা পুতুলের কানাডার নাগরিকত্বের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পলায়নের পর একের পর বের হয়ে আসছে দলীয় নেতাকর্মীদের দূর্নীতি ও অনিয়মের খবর। বের হয়ে আসছে আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগ করা আমলাসহ শেখ পরিবারের স্বজনদের দুর্নীতির তালিকা। সেই ধারাবাহিকতায়ই এবার প্রকাশ্যে এলো সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে পুতুলের কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ।
দুদক আরও জানায়, পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ (দশ) কাঠা প্লট আয়ত্ব করেন। সেকারণে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ লুফে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।
তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থে ক্ষতি হয়েছে। সব তথ্য হাতে নিয়ে দুদক জানায়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।